২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ব্রিক্স সম্মেলনে উঠে আসছে ভূ-রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা ও পাশ্চাত্যের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা

- ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মতে, রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিক্স গোষ্ঠীর বৈঠক ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিকে যাচ্ছে না।

এদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রিক্স সদস্যরা এমন বিষয় নিয়ে কাজ করছে যা তাদের পাশ্চাত্য প্রভাব থেকে আরো মুক্ত বা বিচ্ছিন্ন করতে পারে।

ব্রিক্সের সদস্য দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাতে রয়েছে বিকল্প পেমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তোলা যা যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের ওপর নির্ভর করবে না। ব্রিক্স ডিজিটাল মুদ্রা তৈরির ভাবনা উঠে এসেছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মানিটারি ফান্ড বা আইএমএফের মতো পাশ্চাত্য আর্থিকপ্রতিষ্ঠানের বিকল্প সংস্থা স্থাপনের কথাও ভাবা হয়েছে।

চীন, রাশিয়া ও ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। তাই এই দেশগুলো ব্রিক্সে বর্ণিত লক্ষ্যগুলো পূরণের জন্য এবং তারা যাকে অবৈধ নিষেধাজ্ঞা বলে মনে করে তা ফাঁকি দিতে বিশেষভাবে আগ্রহী।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিক্স বৈঠকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি সমানভাবে আগ্রহী।

মোদি বলেন, ‘ব্রিক্সের দেশগুলোর মধ্যে আর্থিক সংহতি বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে আমরা স্বাগত জানাই। স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্য এবং মসৃণ আন্তঃসীমান্ত পেমেন্ট আমাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে মজবুত করবে।’

রাশিয়ার স্টেট ডুমা স্পিকার ভ্যাচাস্লাভ ভলোদিন ক্লাউডভিত্তিক বার্তাবাহী অ্যাপ টেলিগ্রামে দুই দিবসীয় বৈঠকের আগে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ব্রিক্সের অগ্রাধিকারের মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে পাশ্চাত্য ও দক্ষিণের মধ্যে বিভাজন।

তিনি বলেন, ‘ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসের আধিপত্যবাদের সময় শেষ হয়ে আসছে। দেশগুলো জনগণের স্বার্থে সম কথোপকথন ও পারস্পরিকভাবে লাভজনক সমন্বয়ের পথ বেছে নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার অনুগতদের তুষ্ট করতে চাইছে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, তারা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন নন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারিন জাঁ-পিয়ের সোমবার এক প্রেস ব্রিফিং-এ বলেন, ‘ব্রিক্স এক ধরনের ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে বলে আমরা মনে করছি না। আমরা এটিকে এভাবে দেখি না…যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কারো কাছে।’

সূত্র : ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement