২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সংঘাতের প্রেক্ষাপটে জি-সেভেন প্রতিরক্ষা শীর্ষ সম্মেলন শুরু

ইতালির নেপলসে জি-সেভেন প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠক - সংগৃহীত

জি-সেভেন সম্মেলনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা শনিবার মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং ইউক্রেনের ওপর চাপ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আলোচনা শুরু করেছেন।

গ্রুপ অফ সেভেন-এর সাতটি দেশের মধ্যে পালাবদলে এখন ইতালি সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালন করছে। তারা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নেপলসে প্রতিরক্ষার জন্য নিবেদিত সংস্থার প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করে। নেপলসে ন্যাটোর একটি ঘাঁটিও রয়েছে।

ন্যাটো প্রধান মার্ক রুট ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি প্রধান জোসেপ বোরেলসহ উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রসেইতো।

ক্রসেইতো সম্মেলনটি উদ্বোধন করার সময় বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের আজকের উপস্থিতি... যারা আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে তাদের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে।’

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার নৃশংস আগ্রাসন এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তব সঙ্কটময় পরিস্থিতি, একইসাথে সাব-সাহারান আফ্রিকার মধ্যে গভীর অস্থিতিশীলতা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা একটি নেতিবাচক অদূর ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাসসহ একটি অবনতিশীল নিরাপত্তা কাঠামো তুলে ধরে।’

ক্রসেইতো এক দিন আগে ব্রাসেলসে বলেছিলেন, ‘এক দিনের শীর্ষ সম্মেলনের সময় ক্রমবর্ধমান মধ্যপ্রাচ্য সঙ্ঘাত নিয়ে আলোচনার জন্য যথেষ্ট জায়গা দেয়া হবে।’

এছাড়াও শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে ইউক্রেনের যুদ্ধ, আফ্রিকার উন্নয়ন ও নিরাপত্তা এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি।

মধ্যপ্রাচ্য
ইসরাইলি বাহিনী হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করার ঘোষণার দু’দিন পর এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি শুক্রবার লেবাননে ছিলেন। ইসরাইল লেবাননেও হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত।

মেলোনি বৈরুতে বক্তৃতা করার সময় লেবাননে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা করেন। জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী তাদের অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করে।

লেবাননে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে ইতালির প্রায় এক হাজার সৈন্য রয়েছে। এই বাহিনীতে ৫০টিরও বেশি দেশের সৈন্য রয়েছে।

ইউক্রেন
ইউক্রেনের বিষয়ে মন্ত্রীরা কিয়েভের যুদ্ধ তৃতীয় শীতে প্রবেশ করা, পূর্বদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী মাসে হোয়াইট হাউসে নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা হ্রাসের সম্ভাবনার প্রতি আলোকপাত করবেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিজয়ী কৌশল তৈরি করার জন্য পাশ্চাত্যে মিত্রদের থেকে চাপের মুখে রয়েছেন। তিনি বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাপোর কাছে একটি বিজয় পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

এর প্রধান বিষয় হলো অবিলম্বে ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার আহ্বান। কিন্তু জোটটির সদস্যরা তা অসম্ভাব্য বলে মনে করেন।

এ পরিকল্পনায় দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ব্যবস্থা এবং ইউক্রেনের অঞ্চলে একটি অনির্ধারিত ‘অপারমাণবিক কৌশলগত প্রতিরোধ প্যাকেজ’ দাবি করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর কোরিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর যুদ্ধকে সমর্থন করার জন্য বিপুল সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করছে- এমন প্রতিবেদনও আলোচনার অধীনে থাকবে।

শুক্রবার রুট বলেন, ন্যাটো এখনো এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়নি।
সূত্র : ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement