২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

‘সবাইকে খুশি করে বিচার করা যাবে না’

- ছবি - ইন্টারনেট

বিচারিক আদালতে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা ও মামলার খরচ কমানোর পাশাপাশি উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের নীতিমালা তৈরিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান।

কমিশনের বৈঠক শেষে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান বলেন, ‘আমরা জনসাধারণের সুখ-সুবিধাটা দেখব। একটা মামলার প্রসেস দিয়ে আরম্ভ হয়, মামলাটা কোর্টে ফাইল করেন, তার সমন যায় বিবাদির কাছে। বিবাদি পেলে এটার উত্তর দেয়। তারপরে মামলা আরম্ভ হয়। মামলা ফাইলিংয়ের পরেই এই যে সমন জারিটা এটা বেদনাদায়ক একটা প্রসেস।’

বিচারিক আদালতের পুরো প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘একটা সমন ইস্যুতে দেখা যায় সাতবার-আটবার ফেরত আসে। এটার কারণ দুই দিকেই আছে, বাদিপক্ষের যারা আছে ওরাও দায়ী, আদালতও দায়ী আর বিবাদি তো যতদিন না নিয়ে দেরি করতে পারে। আমরা এটা কিভাবে নিরসন করা যায় সেটার দিকে নজর দেবো। এটা নিয়ে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা করেছি। আমরা এটা করব, বিলম্ব যাতে না হয়।’

মমিনুর রহমান মামলার মাত্রাতিরিক্ত খরচের কথাও উল্লেখ করেন।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য পৃথক সচিবালয় নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা সুপারিশ দেবো। আপনি বিচার করলেন, মামলায় রায় পেলেন, রায় কার্যকর করবে কে? সরকার, তো আমরা সেপারেশন কিভাবে হলাম, সরকার ছাড়া তো আমরা চলতে পারছি না। এবসোলিউট সেপারেশন হবে না। লেজিসলেশন বলেন, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, জুডিশিয়ারি বলেন আমাদের মিলেমিশে কাজ করতে হবে। অন্যান্য যারা আছেন, তারা যাতে যে রায়টা দিলাম এটাকে সম্মান করেন। কমপ্লিট সেপারেশন অব জুডিশিয়ারি বলতে কিছু নাই।’

‘আমরা চাইবে ইন্টারফেয়ারেন্স যাতে না হয়। বিচার এক জায়গায় শেষ হতে হবে। সবাইকে খুশি করে বিচার করা যাবে না,’ বলেন মমিনুর রহমান।

বিচার বিভাগের আস্থার সঙ্কট ফেরাতে সুপারিশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement