২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

দুর্নীতিবাজ প্রকাশকদের শ্বেতপত্র প্রকাশ ও তাদের বিচারের দাবি সৃজনশীল প্রকাশক ওয়ার্কিং কমিটির

দুর্নীতিবাজ প্রকাশকদের শ্বেতপত্র প্রকাশ ও তাদের বিচারের দাবি সৃজনশীল প্রকাশক ওয়ার্কিং কমিটির - ছবি : নয়া দিগন্ত

অমর একুশে বইমেলা এবং বইক্রয়ে সরকারি নীতিমালা শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রকাশকরা বলেছেন, রাজনৈতিক এবং দলীয় বিবেচনায় নয়, বইয়ের গুনগত মান বিচারে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করা উচিত। বিগত ১৭ বছরে যারা রাজনীতি এবং দলীয় পরিচয়ে সরকারি প্রকল্পের বই ক্রয়ে অনিয়মের সাথে জড়িত, তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং সরকারকে এর তদন্তের অনুরোধ জানাবে সৃজনশীল ওয়ার্কিং কমিটি।

সংলাপ অনুষ্ঠানে বইমেলায় প্যাভিলিয়ন পদ্ধতি বাতিল, স্টল ভাড়া কমানো এবং পাঠকদের জন্য ভালো বই মুদ্রণের আহ্বান জানানো হয়। অনুষ্ঠানে শুরুতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের এবং সিনিয়র প্রকাশক আলমগীর রহমানের মৃত্যুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

বাংলাদেশে প্রকাশনা শিল্পের পাইওনিয়ার ইউপিএলর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সকালে জনসন রোডের স্টার হোটেলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন কাকলি প্রকাশনীর সেলিম আহমেদ, ঐতিহ্যের আরিফুর রহমান নাঈম, সূচীপত্রের সাঈদ বারী, আদর্শের মাহাবুব রাহমান, আবিষ্কারের দেলোয়ার হাসান, বাতিঘরের দীপঙ্কর দাস, এডনের জাকির হোসেন, ভাষাচিত্রের খন্দকার সোহেল, উৎসের সেলিম আহমেদ, সৃজনীর মশিউর রহমান, রয়েল পাবলিকেশনের জামাল উদ্দিন, শাহজি প্রকাশনীর শরিফ শাহজি, প্রতিভা প্রকাশের মঈন মুরসারিন, কলি প্রকাশনীর মহিউদ্দিন কলি, মুক্তচিন্তার শিহাব বাহাদুর, মহাকাশের মনিরুজ্জামান, অ-এর আবু বকর সিদ্দিক, ভাষা প্রকাশের মিজানুর রহমান সহ ২৩ জন প্রকাশক তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

সংলাপ অনুষ্ঠানে অনন্যার মনিরুল হক, অনুপমর মিলন নাথ, সংবেদের পারভেজ হোসেন, হাসি প্রকাশনীর হেলাল উদ্দিন, ইতি প্রকাশনীর জহির দিপ্তীসহ ১১০জন সৃজনশীল প্রকাশক উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য বাংলাদেশে সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত সংখ্যা ১৭০।

প্রকাশকরা বলেন, বইমেলায় রাজনীতিক বিবেচনায় স্টল ও এনজিও প্রতিষ্ঠান এবং খাবারের দোকান বন্ধ করতে হবে। আলাদা শিশু চত্তর বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে বাংলা একাডেমির স্টল এবং ৭০ কমিশনে তাদের বই বিক্রি। বাংলা একাডেমির ৩২ সদস্যের কমিটিতে ১৬জন রাখতে হবে প্রকাশক। মন্ত্রী, আমলা এবং দলবাজ লেখকদের বই সরকারি ক্রয়ে কেনা যাবে না। জেলা ও বিভাগীয় বইমেলার নামে লুটপাট বন্ধ করতে হবে। গত ১৭ বছর যে সিন্টিকেট চক্রটি সরকারি প্রকল্প বই ক্রয়ে লুটপাট করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হবে। এসইডিপি প্রকল্পে অনিয়মে মন্ত্রী, সচিব এবং প্রকল্পের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিচার করতে হবে। গত ১৫ বছরেই কেবল গ্রন্থকেন্দ্রে মন্ত্রী ও সচিবের কোটায় ১০ কোটি টাকার বই ক্রয় করা হয়েছে লুটপাটকারী প্রকাশকদের কাছ থেকে। এখানে সরকারী টাকা দিয়ে বই কেনা হয় না কেনা হয় পছন্দের লেখকের, পছন্দের প্রকাশকের মানহীন বই। মন্ত্রী আমলাদের যারা খুশি করতে পেরেছেন তাদেরই বই তারা কিনেছেন। সাধারণ প্রকাশকরা বই বিক্রি করতে পারছেন না। প্রকাশনা শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে তারা দাবি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement