গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলি বাহিনীর প্রতি ছিল ‘হ্যানিবল নির্দেশিকা’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ জুলাই ২০২৪, ১৭:২১, আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ২০:০২
গত ৭ অক্টোবর সেনাদের প্রতি হ্যানিবল নির্দেশিকা দিয়েছিল ইসরাইল। রোববার ইসরাইলি সেনা ও ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সূত্রে স্থানীয় গণমাধ্যম হারেৎজ এমন তথ্য জানিয়েছে।
হ্যানিবল নির্দেশিকা হলো ইসরাইলের একটি বিতর্কিত সামরিক নীতি। এর মূল কথা হলো, যদি শত্রুপক্ষ ইসরাইলি কোনো সেনাকে বন্দী করে, তাহলে যেকোনো মূল্য ওই বন্দী সেনাকে উদ্ধার করতে হবে। সেজন্য যদি নিজেদের বাহিনী বা নাগরিককেও আঘাত করতে হয়, তাতেও দ্বিধা করা যাবে না। তবুও বন্দী সেনাকে ইসরাইলি সীমার বাইরে নিতে দেয়া যাবে না।
ইসরাইলি সৈন্য এবং উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের সূত্রে সংবাদপত্রটি বলেছে, গত অক্টোবরে হামাসের নজিরবিহীন হামলার সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনী সীমিত এবং অপ্রমাণিত তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করে। এ সময় সেনাদের প্রতি নির্দেশনা ছিল, যেকোনো মূল্যে বন্দী সেনাদের উদ্ধার করতে হবে। সেজন্য হামাসের কোনো গাড়িই যেন গাজায় ফিরে যেতে না পারে।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, তখন কী পরিমাণ হামাস সেনা ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল, সেটা ইসরাইলি সেনারা জানতো না। তবে তাদের এতটুকু ধারণা ছিল যে ইসরাইল সীমান্তে অনেক হামাস যোদ্ধা জড়ো হয়েছে। সুতরাং এই বার্তাটির অর্থ কী এবং অপহৃতদের মধ্যে বন্দী সেনাদের ভাগ্য কী হবে, তা সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার ছিল।’
এদিকে, হামাস জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামাস কয়েক ডজন ইসরাইলিকে বন্দী করে। তাদের মধ্যে অনেকেই এখনো বন্দী অবস্থায় আছে। গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় কয়েকজন বন্দী নিহত হয়েছে। কিন্তু যাদের বন্দী করা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই বেসামরিক নাগরিক এবং সৈন্য নয়। তাদের জন্য হ্যানিবল নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বলছে, হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছিল। আর প্রায় ২৫০ জনকে বন্দী হিসেবে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা