০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫
`

যে পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিলেন নেতানিয়াহু

যে পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিলেন নেতানিয়াহু - সংগৃহীত

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার আবার নতুন করে অঙ্গীকার করেন যে- ‘জয়ের বিকল্প নেই।’

তিনি তার মন্ত্রিসভাকে বলেন, ইসরাইল গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যতক্ষণ না তারা পরাজিত এবং হামাসের হাতে ১২০ জন মৃত ও জীবিত পণবন্দীকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রায় ১০ মাস দীর্ঘ এই যুদ্ধ চলবে ‘যতক্ষণ না আমরা আমাদের সকল লক্ষ্য অর্জন করি’ সেই সাথে হামাস ‘ইসরাইলের জন্য আর কোনো হুমকি সৃষ্টি করবে না।’

কিন্তু যুদ্ধবিরতি আলোচনার অচলাবস্থায় কোনোরূপ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। ইসরাইল ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধ বন্ধের এবং পণবন্দী ও বন্দীদের বিনিময় করার প্রস্তাব জানিয়েছে, আর হামাস যুদ্ধটির স্থায়ী সমাপ্তি এবং ইসরাইলের সৈন্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

শনিবার হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা ওসামা হামদান বৈরুতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আগ্রাসন বন্ধের আলোচনার শেষ পর্যন্ত কোনো বাস্তব অগ্রগতি হয়নি এবং আমেরিকার প্রশাসন যা উদ্ধৃত করেছে তা (হামাসের) আন্দোলনের উপর চাপ সৃষ্টি করা, কোনো পরিবর্তন ছাড়াই ইসরাইলের (যুদ্ধবিরতি) প্রস্তাব মেনে নেয়ার প্রচেষ্টা।’

হামদান বলেন, ‘আবারো হামাস যেকোনো প্রস্তাবের সাথে ইতিবাচকভাবে সহায়তা করতে প্রস্তুত যেটি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা ভূখণ্ড থেকে পূর্ণাঙ্গরূপে প্রত্যাহার এবং একটি গুরুতর বিনিময় চুক্তি নিশ্চিত করবে।’

উত্তর গাজায় পুনরায় অভিযান
যুদ্ধক্ষেত্রে, ইসরাইলি বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে শেজাইয়া অঞ্চলের দিকে আরো অগ্রসর হয়েছে। ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে হামাসের কমান্ড কাঠামো ভেঙে ফেলার ঘোষণা দেয়ার কয়েক মাস পরে তারা এদিকে অগ্রসর হয়েছে এবং মিশরের সীমান্তের কাছে দক্ষিণে পশ্চিম ও মধ্য রাফাতে আরো গভীরে এগিয়ে গেছে।

বাসিন্দারা জানান, অন্তত ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে।

হামাস যোদ্ধারা সেখানে কর্মরত ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট এবং মর্টার বোমা নিক্ষেপ করেছে।

শনিবার, ইসরাইলের সামরিক বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই ইসরাইলি সেনা নিহত হওয়ার ঘোষণা দেয়।

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হয় যখন হামাস গত বছর ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালায়। ইসরাইলের হিসাব অনুযায়ী, হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ লোক নিহত হয় এবং প্রায় ২৫০ জনকে পণবন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়।

গাজার হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের পাল্টা অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ঘনবসতিপূর্ণ এই উপকূলীয় ভূখণ্ড বিধ্বস্ত হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement