১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১, ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

হামাসের হাতে একদিনেই ৮ ইসরাইলি সেনা নিহত

কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পসের ৬০১তম ব্যাটালিয়নের ডেপুটি কোম্পানি কমান্ডার ওয়াসেম মাহমুদ - ছবি : টাইমস অব ইসরাইল

গাজায় হামাসের হামলায় একদিনে আট ইসরাইলি সেনার মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (১৫ জুন) ইসরাইলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এ ঘোষণা দিয়েছে।

টাইমস অফ ইসরাইলের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে দক্ষিণ গাজার রাফায় বিস্ফোরণে আট ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়েছে। সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, জানুয়ারি থেকে গাজায় এটি ছিল আইডিএফের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা।

সেনাদের মধ্যে কেবল একজনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি হলেন কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পসের ৬০১তম ব্যাটালিয়নের ডেপুটি কোম্পানি কমান্ডার ওয়াসেম মাহমুদ। বাকি সাত সেনার পরিবারকে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তাদের নাম পরে প্রকাশ করা হবে।

আইডিএফের একটি প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, সৈন্যদের সবাই নামারের আর্মার্ড কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ভেহিকেল (সিইভি) এর ভেতরে নিহত হয়েছিল।

রাফার তাল সুলতান শহরের আশেপাশে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে রাতারাতি অভিযানের পর শনিবার ভোর ৫টার দিকে সৈন্যরা একটি কনভয় নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিল। এই সময় ৪০১তম আর্মার্ড ব্রিগেডের অধীনে সৈন্যরা প্রায় ৫০ জন বন্দুকধারীকে হত্যা করেছিল। রাতারাতি অভিযানের পর সৈন্যদের বিশ্রামের জন্য কনভয়টি সেনাবাহিনীর ভবনের দিকে যাচ্ছিল।

নেমার সিইভি ছিল কনভয়ের পঞ্চম বা ষষ্ঠ যান। একপর্যায়ে এতে একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে এটি তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয় যে সেখানে টাইম বোমা স্থাপন করা হয়েছিল নাকি হামাস কর্মীরা কোনো বিস্ফোরক ডিভাইস নিয়ে গাড়ির কাছে এসে সরাসরি সিইভিতে রেখেছিল।

সিইভির বাইরের অংশে সংরক্ষিত বিস্ফোরকগুলো বড় ধরনের বিস্ফোরণের সম্ভাবনা নিয়ে তদন্ত করছে সামরিক বাহিনী। সাধারণত সিইভির বাইরের অংশে সঞ্চিত মাইন এবং অন্যান্য বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হলে ভেতরে সৈন্যদের আঘাতের কারণ হতে পারে না। তবে এ সময় কোনো বন্দুক যুদ্ধ হয়নি। অবশ্য বিস্ফোরণের সময় গাড়িটি থেমে ছিল না তদন্তে পাওয়া গেছে।

তাদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযানে এবং গাজা সীমান্তে অভিযানে নিহত আইডিএফ সেনার সংখ্যা ৩০৭ জনে পৌঁছেছে।

এদিকে, গত সপ্তাহে বন্দী উদ্ধার অভিযানে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন বেসামরিক ঠিকাদারও নিহত হয়েছেন।

গাজায় সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা ঘটে জানুয়ারিতে। ওই সময় হামাসের আরপিজি ফায়ারের পরে একটি বিস্ফোরণে ২১ সৈন্য নিহত হয়।

সূত্র : টাইমস অফ ইসরাইল


আরো সংবাদ



premium cement