১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

৪ শর্তে জাতিসঙ্ঘ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণের ঘোষণা হামাসের

হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং অন্যরা - ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস চার শর্তে গাজায় জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে। তারা প্রস্তাবটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে ইসরাইলকে বাধ্য করা। গাজার অপর দল ইসলামিক জিহাদও একইভাবে সাড়া দিয়েছে।

হামাসের চার শর্ত হচ্ছে গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ অবসতান, ইসরাইলি সৈন্যর পূর্ণ প্রত্যাহার, বিধ্বস্ত এলাকা পুনঃনির্মাণ এবং ইসরাইলি কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি প্রদান।

হামাসের কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি মঙ্গলবার রয়টার্সকে বলেন, 'আমরা আমাদের আগের অবস্থান আবারো বলছি, আমরা বিশ্বাস করি, খুব একটা বড় ব্যবধান নেই। বল এখন ইসরাইলের কোর্টে।

আবু জুহরি বলেন, মার্কিন প্রশাসন জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের আলোকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে দখলদারদের বাধ্য করার প্রতিশ্রুতি পালন করার সময় সত্যিকারের পরীক্ষায় পড়বে।

এদিকে সিনিয়র হামাস কর্মকর্তা ওসামা হামদান লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, তারা ‌'মধ্যস্ততাকারীদের কাছে কিছু মন্তব্য দাখিল করেছে।' তিনি অবশ্য বিস্তারিত কিছু বলেননি।

এদিকে মঙ্গলবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেন, 'কাতার এবং মিসর ঘোষণা করছে যে তারা সর্বসাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আজ হামাসের কাছ থেকে জবাব পেয়েছে।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আলোচকদের কাছে দেয়া হামাসের কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের সাড়ার বিষয়টি জানতে পেরেছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন তা নিয়ে 'কাজ করছে।'

ইসলামিক জিহাদ জানিয়েছে, তারা চুক্তির ব্যাপারে ইতিবাচকভাবে সম্পৃক্ত হতে প্রস্তুত। তারা যুদ্ধ বন্ধ চায়।

রয়টার্স জানিয়েছে, তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহারের ব্যাপারে নতুন সময়সূচি চায়।

আল জাজিরার সংবাদদাতা ইমরান খান বলেন, হামাস পুরো গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার দাবি করেছে। এমনকি রাফা ক্রসিং এবং ফিলাডেলফিয়া করিডোরেও কোনো ইসরাইলি সৈন্য না থাকার দাবি করেছে।

সূত্র : আল জাজিরা, মিডল ইস্ট মনিটর, আরব নিউজ এবং অন্যান্য


আরো সংবাদ



premium cement