১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গাজা যুদ্ধ হামাসের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে

গাজা যুদ্ধ হামাসের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে - ফাইল ছবি

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার ফলে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে। আর ফাতাহ গ্রুপ, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং এর শীর্ষ নেতাদের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। জার্মান এনজিও ইবার্ট-স্টিফটাংয়ের সহযোগিতায় জেরুসালেম মিডিয়া এবং কমিউনিকেশন সেন্টারের পরিচালিত এক জনমত জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

পূর্ব জেরুসালেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে এই জরিপ চালানো হয়। নিরাপত্তাগত কারণে জরিপ থেকে গাজাকে বাদ রাখা হয়।

ইসরাইলিদের কাছে জুডিয়া ও সামারিয়া নামে পরিচিত পশ্চিম তীরের সংখ্যাগরিষ্ঠ আরব অধিবাসী বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসই বিজয়ী হবে।

প্রশ্ন ছিল : এই যুদ্ধ শেষ হবে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হামাসের উত্থান বা পতনের মধ্য দিয়ে- আপনি কোনটি মনে করেন। ৫৫ ভাগ জবাবদাতা বলেছেন, হামাসের জনপ্রিয়তা বাড়বে। মাত্র ১৩.১ ভাগ বলেছেন, হামাসের জনপ্রিয়তা কমবে। আর ২৭.৩ ভাগ বলেছেন, জনপ্রিয়তায় কোনো পরিবর্তন হবে না।

জরিপে প্রায় ৪০ ভাগ জানান, ৭ অক্টোবরের হামলা ফিলিস্তিনিদের জাতীয় স্বার্থ হাসিল করেছে। ৩০.২ ভাগ মনে করে, এটি তাদের স্বার্থে ক্ষতি করেছে। আর ২৩.৫ ভাগ মনে করেছেন, এটি লাভ বা ক্ষতি কোনোটিই করেনি।

৪১ ভাগের বেশি মনে করেন, যুদ্ধ শেষ হবে হামাসের অনুকূলে। মাত্র ৬.৩ ভাগ মনে করেন, এটি ইসরাইলের অনুকূলে শেষ হবে।

কোন ফিলিস্তিনি নেতাকে আপনি সবচেয়ে বেশি বিশ্বস্ত মনে করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ৭.১ ভাগ মারওয়ান বারগুইতির কথা বলেন। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ইনতিফাদাহর সময় খুন এবং আত্মঘাতী হামলার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগে তিনি এখন ইসরাইলি কারাগারে রয়েছেন। তাকে পাঁচবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এছাড়া হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ২.৭ ভাগ, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট আব্বাস মাহমুদ ২.৫ ভাগ এবং হামাস মুখপাত্র আবু ওবায়দা ৩.৬ ভাগ সমর্থন পেয়েছেন। ৬৫ ভাগ বলেছেন, তারা কোনো নেতাকেই বিশ্বাস করেন না।

জরিপটি ২২-২৫ মে পরিচালনা করা হয়। এতে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ১৮ বছরের বেশি বয়সের ৭১৫ জনের সাক্ষাতকার নেয়া হয়।

জরিপে দেখা যায়, দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বা এক রাষ্ট্র সমাধানের ব্যাপারে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সুস্পষ্ট বিভাজন রয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তাদের জাতীয় লক্ষ্য হাসিল নিয়েও মতপার্থক্য রয়েছে। সশস্ত্র সংগ্রাম, সামরিক প্রতিরোধ নাকি কূটনৈতিকভাবে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ করা হবে, তা নিয়ে তারা বিভক্ত।

জরিপে প্রাপ্ত কয়েকটি বিষয় :
* প্রায় ৪০ ভাগ জবাবদাতা বিশ্বাস করে যে ইসরাইলের ভেতরে ৭ অক্টোরের হামলা এবং এর পরে চলমান যুদ্ধ ফিলিস্তিনি জাতীয় স্বার্থ পূরণ করছে।

* জরিপে অংশ নেয়া ৪১ ভাগের বেশি বলেছেন যে তারা বর্তমান যুদ্ধ হামাসের অনুকূলে শেষ হবে।

* প্রায় ৩৮.৫ ভাগ বলেছেন, ইসরাইল এবং কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে স্বাভাবিকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান ঘটবে।

* অন্তত ৪৪.৫ ভাগ বলেছেন, জাতীয় লক্ষ্য হাসিলের জন্য শান্তিপূর্ণ, কূটনৈতিক রাজনৈতিক পদক্ষেপ সর্বোত্তম পদক্ষেপ। আর ৪০.৮ ভাগ বলেছেন, তারা সহিংস সামরিক প্রতিরোধকে সমর্থন করেন।

সূত্র : আল জাজিরা এবং জেএনএস


আরো সংবাদ



premium cement
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি চলাচল স্বাভাবিক মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন, যেসব বিষয়ে আলোচনা হবে ট্রাইব্যুনালে যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি কংগ্রেসে সমালোচকদের সম্মুখীন ব্লিংকেন সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে রাশিয়া, সামরিক ঘাঁটির নিরাপত্তার ওপর জোর গাজীপুর ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের চাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত আরেক মামলায় খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন রাশিয়া আবারো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে 'ওরেশনিক ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে : যুক্তরাষ্ট্র অভয়নগরে ট্রাকচাপায় নিহত ২, ট্রাকে আগুন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের আগেই নিরাপত্তা স্মারক বাইডেনের

সকল