রাইসির কপ্টার দুর্ঘটনা : মোশাদের ভূমিকা নিয়ে যা বলল ইসরাইল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২২ মে ২০২৪, ০৬:৫৮
কপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পর থেকেই আলোচনায় উঠে আসছে ইসরাইলের নাম। গোটা ঘটনায় তেল আবিবের হাত আছে কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে বিতর্কের মধ্যে মুখ খুলেছে ইসরাইল। কপ্টার দুর্ঘটনায় আদৌ সেদেশের কোনো ভূমিকা রয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন এক ইসরাইলি কর্মকর্তা।
রোববার হেলিকপ্টার ভেঙে মাত্র ৬৩ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে ইব্রাহিম রাইসির । কট্টর ইসরাইবিরোধী হিসেবেই আজীবন পরিচিত ছিলেন রাইসি। গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইসরাইল সংঘাতের পর থেকে আরো বেড়েছিল ওই বিরোধিতা। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘাত। বেশ কয়েকবার আঘাত-প্রত্যাঘাত চালিয়ে যায় দুই দেশ। সংঘাত খানিকটা থিতিয়ে যাওয়ার পরেই হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে রাইসির মৃত্যু। সেই জন্যই কপ্টার দুর্ঘটনার নেপথ্যে ইসরাইলের ভূমিকা রয়েছে কিনা, শুরু হয় সেই জল্পনা।
রাইসির কপ্টার দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই এই নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইকোনমিস্ট। সেখানে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ইরানে সক্রিয় রয়েছে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। তেহরানের মদতপুষ্ট যোদ্ধাদের হত্যা করতেও তারা সিদ্ধহস্ত। নিখুঁতভাবে অপারেশন চালিয়ে ইসরাইলের ‘শত্রু’দেরও হঠিয়েছে মোসাদ। কিন্তু ইরানের রাষ্ট্রপ্রধানকে টার্গেট করবে মোসাদ, সেই সম্ভাবনা খুবই কম বলে মত ছিল বিশেষজ্ঞ মহলের। কারণ কোনো দেশের প্রধানকে খুন করা সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সমকক্ষ।
আন্তর্জাতিক মহলে প্রবল বিতর্কের মধ্যেই রাইসির দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছে ইসরাইল। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা সাফ জানিয়েছেন যে ইরানের প্রেসিডেন্টের কপ্টার ভাঙার নেপথ্যে ইসরাইলের কোনো ভূমিকা নেই। তবে কপ্টার ভেঙে পড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ইরান।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা