পানি-তেল-নিরাপত্তা আলোচনায় ইরাক সফরে যাচ্ছেন এরদোগান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৮
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান সোমবার তার ক্ষমতায় অধিষ্ঠানের কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম প্রতিবেশী ইরাকে রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন। গাজা উপত্যকায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ এবং ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে হামলার কারণে আঞ্চলিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সফরটি হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের রাজধানী আরবিলে কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার আগে, বাগদাদে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী ও প্রেসিডেন্ট আবদেল লতিফ রশিদের সাথে এরদোগানের বৈঠক করার কথা রয়েছে। সেখানে পানি, তেল ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়গুলো আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফরে আটলান্টিক কাউন্সিলের এক অনুষ্ঠানে আলোচনার ফাঁকে সুদানী বলেন, ইরাক ও তুরস্কের মধ্যে অভিন্ন ইতিহাস, স্বার্থ ও সুযোগের সাদৃশ্য থাকলেও তাদের মধ্যে সমস্যাও রয়েছে।
এরদোগানের সাথে আসন্ন বৈঠক সম্পর্কে তিনি বলেন, পানি ও নিরাপত্তা এজেন্ডা শীর্ষে থাকবে।
সুদানীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ফরহাদ আলাদিন এএফপিকে বলেন, এরদোগান ইরাকি কর্মকর্তাদের সাথে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যসহ দুই দেশের সহযোগিতার নিরাপত্তার দিক, পানি ব্যবস্থাপনা ও পানি সম্পদ নিয়ে আলোচনা করবেন। সফরের সময় বেশ ক’টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আশাবাদ ব্যক্ত করেন আলাদিন। তবে পানি সম্পদের ভাগাভাগি দেশ দুটির মধ্যে প্রধান বিরোধের বিষয়। অভিন্ন তাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীতে তুরস্ক নির্মিত বাঁধের কারণে ইরাকে পানির অভাব আরো বেড়েছে।
এরদোগান বলেছেন, পানির ইস্যুটি হবে তার সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলির একটি। এছাড়া, ইরাকি তেল রফতানি উত্তেজনার আরেকটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনি বিরোধ ও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে একটি বড় পাইপলাইন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। ইতোপূর্বে স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে বাগদাদের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের অনুমোদন বা তত্ত্বাবধান ছাড়াই তুরস্কের সেহান বন্দরের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে তেল বিক্রি হতো।
ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিবৃতি অনুসারে, তুরস্কে ইরাকের রাষ্ট্রদূত মাজিদ আল-লাজমাভি, পানি ও জ্বালানি ইস্যুতে অগ্রগতি ও তুরস্কের মাধ্যমে ইরাকি তেল রফতানি প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করার আশা করছেন। রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও উন্নয়নে একটি‘কৌশলগত কাঠামো চুক্তি’ স্বাক্ষরেরও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আলোচ্যসূচিতে‘উন্নয়নের রুট’ নামের একটি ১৭ বিলিয়ন ডলারের সড়ক ও রেল প্রকল্প রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে তুরস্কের সাথে উত্তর সীমান্তকে দক্ষিণে উপসাগরের সাথে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে ইরাক জুড়ে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার প্রসারিত রুটটি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুসংহত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইরাকে এরদোগানের বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েক দশক ধরে, তুরস্কের কয়েক ডজন সামরিক ঘাঁটি ইরাকের উত্তরে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে)-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। আঙ্কারা ও তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত গোষ্ঠিটি দশকব্যাপী তুর্কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা