১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইসরাইলি বাহিনীর আরো ইউনিটের ওপর অবরোধ আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র!

ইসরাইলি বাহিনীর আরো ইউনিটের ওপর অবরোধ আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র! - ছবি : সংগৃহীত

কেবল নেটজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়ন নয়, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এবং ইসরাইলি পুলিশ বাহিনীর আরো কয়েকটি ইউনিটের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাইডেন প্রশাসন চলতি সপ্তাহেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বলে দুটি মার্কিন সূত্র রোববার টাইমস অব ইসরাইলকে জানিয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক বছরের বেশি সময় ধরে নেটজাহ ইয়েহুদাসহ ইসরাইলি বাহিনীর আরো কয়েকটি ইউনিটের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে।

এর আগে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে উগ্র ইহুদিদের নিয়ে গঠিত নেটজাহ ইয়েহুদা ইউনিটের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন অবরোধ আরোপের বাস্তব প্রভাব হবে খুবই সীমিত। কিন্তু এর তাৎপর্য হবে ব্যাপক। জানা গেছে, অবরোধ আরোপ হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো মার্কিন সামরিক সহায়তার আওতায় কেনা অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না, মার্কিন তহবিলের কোনো প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তারা যোগ দিতে পারবে না।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছর সহিংস বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ শুরু করেছে। ফিলিস্তিনিদের অন্যায়ভাবে টার্গেট করা ইসরাইলি গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে অন্যান্য পাশ্চাত্য দেশও ব্যবস্থা নিচ্ছে।

ইসরাইলিরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে নিজেরাই নিজেদের অপকর্মের জন্য ফেঁসে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে গাজার ব্যাপারেও একইভাবে তারা ধরা খেতে পারে। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইসরাইলি সৈন্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো মানবাধিকার তো বটেই, ইসরাইলি বাহিনীর আচরণবিধিরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে দেখা যাচ্ছে।

তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহ সম্ভাব্য অবরোধ আরোপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

নেটজাহ ইয়েহুদা ইউনিটটি গাজাতেও যুদ্ধ করছে।

উল্লেখ্য, নেটজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নটি অতি উগ্র ইহুদিদের নিয়ে গঠিত। তাদের হাতে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ৮০ বছর বয়স্ক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ওমর আসাদ মারা যান। এ ধরনের আরো কিছু ঘটনা এই বাহিনী ঘটিয়েছে।

আসাদকে রামাল্লার কাছে তার গ্রামে হঠাৎ স্থাপিত একটি চেকপয়েন্টে গ্রেফতার করা হয়। তাকে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়, তার মুখে বাঁধা হয়। এপর সৈন্যরা মধ্যরাতে তাকে মাটিতে কয়েক ঘণ্টা ফেলে রাখে। পরে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পরে এক তদন্তে ইসরাইলি বাহিনী জানায়, এটা ছিল একটি 'বাহিনীটির নৈতিক ব্যর্থতা এবং সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করা। বিষয়টি মানুষের মর্যাদার ওপর মারাত্মক আঘাত ছিল।'

পরে নেটজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের কমান্ডারকে তিরষ্কার করা হয়, কোম্পানি কমান্ডার এবং প্লাটুন কমান্ডারকে বরখাস্ত করা হয়। তবে ঘটনার সাথে জড়িত সৈন্যদের কোনো শাস্তি ছাড়াই রেহাই দেয়া হয়।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল এবং জেরুসালেম পোস্ট


আরো সংবাদ



premium cement
মহিষ চুরির সন্দেহে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা গদখালীতে শত কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা চাষিদের ‘এখন আমি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?’ প্রশ্ন শহিদ সোহাগের স্ত্রীর ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার রহস্য উদঘাটনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে’ ট্রাম্পের শপথের আগে কিয়েভে হামলা জোরদার মস্কোর মেহেরপুরে ২টি বোমাসাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার শায়েস্তাগঞ্জে কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা, শীতবস্ত্রের বিক্রি বেড়েছে ১ কেজি চিনির উৎপাদন ব্যয় ৫৪২ টাকা দেশে বিরাজনীতিকরণের প্রয়াস চলছে : রিজভী নতুন সুযোগে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই : মির্জা ফখরুল ‘জাতিকে মেধাশূন্য করতেই ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড’

সকল