ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৯, আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৩
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার কথা স্বীকার করে বলেছে, বেশিভাগ আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইরানি হামলায় দক্ষিণ ইসরাইলের একটি বিমান ঘাঁটিতে কিছু ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন আহত হয়েছে। কারো মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরাইল জানিয়েছে, ড্রোনগুলো তার আকাশসীমায় পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় নিয়েছে।
তবে পুরো ইসরাইলজুড়ে সাইরেনের শব্দের পাশাপাশি জেরুসালেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। একই সাথে ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিছু বস্তুকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
ইসরাইল, লেবানন ও ইরাক তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে এবং সিরিয়া ও জর্ডান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সতর্কাবস্থায় রেখেছে।
ইরানের হামলা শুরুর পরপরই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। এছাড়া জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য দেশটির সামরিক বাহিনী প্রস্তুত আছে।
'ইরানের সরাসরি হামলার জন্য সাম্প্রতিক বছর ও সপ্তাহগুলো ধরে ইসরাইল প্রস্তুতি নিয়েছে। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত- হামলা ও আক্রমণ উভয়ের জন্য। ইসরায়েল রাষ্ট্র শক্তিশালী। আইডিএফ শক্তিশালী। জনগণ শক্তিশালী,' ভাষণে বলেছেন তিনি।
একই সাথে তিনি তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আমার নীতি পরিষ্কার। যেই আমাদের ক্ষতি করবে,আমরা তাদের ক্ষতি করবো। যেকোনো হুমকির মুখে আমরা আমাদের রক্ষা করবো।'
গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলায় দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ আইআরজিসির কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই হামলা চালানো হলো। ওই হামলা নিয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলছিল।
আআরজিসি এক বিবৃতিতে জানায়, অধিকৃত ভূখণ্ডের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
শনিবার টেলিভিশনে সম্প্রচার করা বক্তৃতায় ইসরাইল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়ে হ্যাগারি বলেন, 'ইরান তার ভূখণ্ড থেকে ইসরাইল রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।'
তিনি বলেন, 'এটা মারাত্মক ও বিপজ্জনক উত্তেজনা। ইরান থেকে এই বৃহত্তর পর্যায়ের হামলার আগেই আমাদের প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ চালানোর সক্ষমতা সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রস্তুতি ছিল।'
হাগেরি স্থানীয় সময় ভোর ৩টায় বলেন, সিরান ২০০-এর বেশি কিলার ড্রোন, ক্রুইস ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এখন পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র, অ্যাটাক্ট ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের সীমান্তের বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল, জেরুসালেম পোস্ট এবং অন্যান্য