১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত বিদেশী ত্রাণকর্মীদের লাশ স্বদেশে পাঠানো হচ্ছে

ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত বিদেশী ত্রাণকর্মীদের লাশ স্বদেশে পাঠানো হচ্ছে - সংগৃহীত

ইসরাইলের বিমান আক্রমণে নিহত ছয়জন বিদেশী ত্রাণকর্মীর লাশ বুধবার মিশরে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে তাদের নিজ দেশে পাঠানো হবে। এ দিকে এই মত্যুর জন্য ইসরাইল ব্যাপক নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক খাদ্য দাতব্য প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের মোট সাতজন কর্মী সোমবার দিনের শেষে বিমান আক্রমণে নিহত হন।

জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব এই ঘটনাকে ‘বিবেকবিহীন’ এবং ‘যেভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করা হচ্ছে তার অবশ্যম্ভাবী ফল’ বলে উল্লেখ করেন।

তিনজন ব্রিটিশ, একজন পোলিশ, একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক এবং একজন কানাডিয়ান-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিকের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মিশরে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তাদের নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদের কাছে লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়। ওই আক্রমণে তাদের ফিলিস্তিনি গাড়ি চালকও নিহত হয় এবং তার লাশ দাফনের জন্য গাজায় তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এই সাতজন ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের কাছে খাদ্য বিতরণ করছিলেন যা নতুন প্রতিষ্ঠিত সামুদ্রিক করিডোর দিয়ে গাজায় নিয়ে আসা হয়। সেই সময়ে ইসরাইলের বিমান আক্রমণ এই তিনটি গাড়িকে লক্ষ্য করে আঘাত হানে এবং এতে গাড়ির ভেতরে থাকা সকলেই নিহত হন।

ইসরাইলের সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান হারজি হালেভি এই হামলাকে ‘মারাত্মক ভুল’ বলে অভিহিত করেন এবং এর জন্য তিনি রাতের বেলায়, ‘সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে না পারা’র কথা বলেন।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা দুঃখীত ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সদস্যদের এই অনিচ্ছাকৃত ক্ষতির জন্য’।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সংকল্প ব্যক্ত করেন যে- এই ‘বিয়োগান্তক ঘটনার’ তদন্ত করা হবে ‘শেষ অবধি’ এবং প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগ তার ‘গভীর দুঃখ ও আন্তরিক ক্ষমা’ প্রকাশ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement