১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গাজায় ত্রাণ বিতরণের সময় গোলযোগে নিহত ৫

গাজায় ত্রাণ বিতরণের সময় গোলযোগে নিহত ৫ - সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট বলছে, শনিবার গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণ বিতরণের সময় গুলিতে এবং পদদলিত হয়ে পাঁচজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো বেশ কয়েকজন। গাজা ভূখণ্ডে এখন দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ত্রাণবাহী ট্রাকের বহর দ্রুত ভাঙা ও জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ পাশ দিয়ে পূর্বনির্ধারিত ত্রাণ বিতরণস্থলে এসে পৌঁছায়। ঠিক সূর্যোদয়ের আগে, অন্ধকারের মধ্যে, মানুষের চিৎকার ও গুলির শব্দ শোনা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সতর্ক করার জন্য কয়েকবার গুলি ছোঁড়া হয়।

রেড ক্রিসেন্ট বলছে, ১৫ ট্রাকভর্তি ময়দা ও অন্যান্য খাবার আসছে- এমন খবর পেয়ে ত্রাণ বিতরণস্থলে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হলে এ ঘটনা ঘটে। এসব খাদ্য উপকরণগুলো গাজা সিটির উত্তর অংশের কুয়েত মোড়ে বিতরণ করা হবে বলে বলা হয়েছিল।

ওই মোড়ে ত্রাণ বিতরণকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি গোলযোগপূর্ণ ও প্রাণঘাতি ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে রয়েছে ২৩ মার্চের ঘটনা।

হামাস পরিচালিত সরকার বলেছে, সেদিন ইসরাইলিদের গুলিতে নিহত হয় ২১ জন। তবে ইসরাইল সেই অভিযোগ অস্বীকার করে।

রেড ক্রিসেন্ট বলছে, শনিবার ভোরে নিহত পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে তিনজন নিহত হয়েছেন গুলিবিদ্ধ হয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে জানায়, ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে থাকা গাজার বাসিন্দারা ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। আর সেখানে মোতায়েন করা ইসরাইলি সেনারা এলোপাথাড়ি গুলি করে। এছাড়া খাবারে কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় কিছু মানুষকে চলন্ত ট্রাক ধাক্কা দেয়।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেছে এএফপি।

জাতিসঙ্ঘের সহায়তায় তৈরি এক প্রতিবেদনে ১৯ মার্চ সতর্ক করা হয়, অর্ধেক গাজাবাসী ‘বিপর্যয়কর’ ক্ষুধার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে পদক্ষেপ না নেয়া হলে, এই ভূখণ্ডের উত্তর অংশে শিগগির দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement