১৯৬৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে ইসরাইল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ জুন ২০২১, ১৮:৩৮, আপডেট: ০৬ জুন ২০২১, ১৮:৩৯
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলের সেনাবাহিনী ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে বলে একটি স্থানীয় এনজিও জানিয়েছে। শনিবার এ বেসরকারি সংস্থাটি (এনজিও) এ তথ্য জানায়।
গ্রেফতারকৃত ১০ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে ১৭ হাজার নারী ও কম বয়সী মেয়েও রয়েছেন। এছাড়াও আরো ৫০ হাজার শিশু ওই গ্রেফতারকৃত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ছিলেন। বিনা বিচারে বন্দী ও সাবেক বন্দীদের বিষয়ে গঠিত একটি কমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই বেসরকারি সংস্থাটি (এনজিও) জানিয়েছে, ১৯৬৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫৪ হাজারের বেশি বন্দী প্রশাসনিক আদেশে বন্দী হয়েছেন বলে রেকর্ড আছে।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক আদেশে বন্দী করার আইনে বিনা বিচারে দীর্ঘ দিন আটক রাখার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর মাধ্যমে একজন বন্দীকে কোনো ধরনের অভিযোগ বা বিচার ছাড়া দীর্ঘ দিন বন্দী রাখা যাবে।
এ বেসরকারি সংস্থাটির মতে, ১৯৬৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ২২৬ ফিলিস্তিনি বন্দী ইসরাইলি কারাগারের অভ্যন্তরে মারা গেছেন।
আরো পড়ুন :
শেখ জাররাহের মুনাকে আটক ইসরাইলি বাহিনীর
আলজাজিরার সাংবাদিককে ইসরাইলি বাহিনীর আটকের পর মুক্তি
বায়তুল মুকাদ্দাসে পতাকা মিছিলের ইহুদিদের পরিকল্পনার পরিণতির বিষয়ে হামাসের হুঁশিয়ারি
এ বেসরকারি সংস্থাটি (এনজিও) আরো জানিয়েছে, ‘ইসরাইলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিরা দৈহিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হন। তাদের সাথে অনৈতিক আচরণ করা হয় এবং খুব খারাপ ব্যবহার করা হয়।
কারাবন্দীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর সংগ্রহ করা তথ্য অনুসারে জানা যায়, ইসরাইলের কারাগারে ৪৫ হাজার বন্দী আছে বলে ধারণা করা হয়। বন্দীদের মধ্যে ৪১ নারীও আছেন। এছাড়া ১৪০ বন্দীকে সামান্য কারণে আর ৪৪০ জনকে প্রশাসনিকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে ইসরাইল পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুসালেম, সিরিয়ার গোলান মালভূমি ও মিসরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করে। পরে ইসরাইলের সাথে ১৯৭৯ সালের শান্তিচুক্তির আওতায় মিসর সিনাই উপদ্বীপ ফিরে পায়।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা