গাজা যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনিদের প্রতি বেড়েছে মার্কিন সমর্থন, বিপাকে ইসরাইল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ জুন ২০২১, ২১:১৭
গত মাসে গাজায় ১১ দিন ধরে ইসরাইলি বিমান হামলার পর সমগ্র বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ রদবদল হয়েছে। এ সময়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি মার্কিনীদের সমর্থন বেড়েছে। অন্যদিকে ইসরাইল সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের চিন্তা-ভাবনায়ও ব্যাপক রদবদল হয়েছে। প্রথমবারের মতো ইসরাইলের সমালোচনায় মেতেছেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা।
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইল নির্বিচারে বোমা হামলা করেছে জবাবে এ অঞ্চলের শাসক দল হামাস তাদের ওপর রকেট হামলা করেছে। এর মাধ্যমে প্রথবারের মতো ইসরাইলকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক সমর্থনে ভাটা পড়েছে। মার্কিন রাজনীতিবিদরা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ইসরাইলপন্থী নীতির সমালোচনা করেছেন।
আলেকজান্ডারিয়া ওকাসিয়া কর্টেজ তার বক্তব্যে বলেন, ‘এ অঞ্চলে ক্ষমতার অসাম্যতা বিদ্যমান। ইসরাইল সব সময় মার্কিন সামরিক ও কূটনীতিক সমর্থনপুষ্ট হওয়ায় ক্ষমতাধর এক দেশে পরিণত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কী কাজ করেছেন। তাদের কি বেঁচে থাকার অধিকারও নেই?
আলেকজান্ডারিয়া ওকাসিয়া কর্টেজের সহকর্মী রাশিদা তালিব এ বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসে এক আবেগময় বক্তব্য রেখেছেন। তিনি এক অসহায় ফিলিস্তিনি মায়ের অবস্থা বর্ণনা করেন। যে ফিলিস্তিনি মা বলেছেন, ‘আমি আজ রাতে আমার বাচ্চাদেরকে আমাদের খাটের ওপর রেখেছি। যাতে আমরা (আমি, আমার স্বামী ও বাচ্চারা) সবাই একসাথে মরতে পারি এবং কাউকে যেন অন্যের মৃত্যু দেখতে বেঁচে থাকতে না হয়।’
এ বিষয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে রাশিদা তালিব বলেন, ‘ওই ফিলিস্তিনি মায়ের এ বক্তব্য আমাকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। এটা আমাকে আরো কষ্ট দিচ্ছে যে আমাদের দেশ যে সকল পদক্ষেপ নিচ্ছে আর যাদের (ইসরাইল) অর্থ দিচ্ছে তা একজন মাকে নির্ভয়ে তার সন্তানদের জীবিত দেখার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।’
ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত ২৫০ জনের মধ্যে ৬৬ জনই শিশু। এ সর্বাত্মক ভয়ঙ্কর যুদ্ধের সময়ে নিউইয়র্ক টাইমস এসব শিশুর ছবি তাদের পত্রিকার প্রথম পাতায় দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। অসংখ্যা মার্কিন গণমাধ্যম ও সংবাদ সংস্থা তরুণ ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠকে তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করেছে। তাদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
সূত্র : দ্য গাজা পোস্ট
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা