গাজায় 'স্থায়ী যুদ্ধবিরতি' প্রতিষ্ঠায় মিসর-ইসরাইল আলোচনা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩১ মে ২০২১, ১৪:৩৮
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় 'স্থায়ী যুদ্ধবিরতি' প্রতিষ্ঠায় আলোচনায় বসেছেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি ও ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাবি আশকেনজাই। মিসরের রাজধানী কায়রোতে রোববার দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বৈঠকে মিলিত হয়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন মিসরীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
এতে আরো বলা হয়, গ্যাবি আশকেনজাইয়ের সাথে আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামিহ শুকরি পূর্ব জেরুসালেম, মসজিদুল আকসা ও সকল ইসলামি ও খ্রিস্টান পবিত্র স্থানের মর্যাদা রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের গুরুত্ব সম্পর্কে জোর দেন।
এর আগে রোববার ১৩ বছর পর প্রথম ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কায়রোতে আনুষ্ঠানিক সফরে যান গ্যাবি আশকেনজাই। নিজের টুইটার একাউন্টে আরবি, হিব্রু ও ইংরেজি ভাষায় লেখা এক বার্তায় তিনি কায়রোতে তাকে আমন্ত্রণের জন্য মিসরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
ওই টুইট বার্তায় তিনি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সাথে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মিসরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান।
বৈঠক শেষে অপর এক টুইট বার্তায় মিসরকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মিত্র হিসেবে উল্লেখ করে আশকেনজাই বলেন, বৈঠকে তারা 'আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলা উগ্রবাদী অংশের শক্তি অর্জনে বাধা দেয়া এবং হামাসের হাতে বন্দী ও হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ঘরে ফেরা নিশ্চিত করার বিষয়ে পদক্ষেপ' আলোচনা করেন।
এদিকে মিসরের জেষ্ঠ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আলোচনার জন্য হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া কায়রোতে রয়েছেন। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
অপরদিকে মিসরের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আব্বাস কামেল যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনায় ইসরাইল ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সফর করেছেন।
মিসরীয় কর্মকর্তারা জানান, প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি গোয়েন্দা প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও ফিলিস্তিন ফ্রন্টে সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনার নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার জেরুসালেমে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকে বসেন আব্বাস কামিল। পরে রামাল্লায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে সাক্ষাত করেন তিনি।
সম্প্রতি গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন এবং হামাসসহ স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর প্রতিক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট সহিংসতা বন্ধে মিসরীয় উদ্যোগে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১০ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় অন্তত ৬৬ শিশু ও ৩৯ নারীসহ ২৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হন। হামলায় আহত হয়েছেন আরো এক হাজার নয় শ' ৪৮ গাজাবাসী। অপরদিকে হামাসের রকেট হামলায় ইসরাইলের ১৩ অধিবাসী নিহত ও সাত শ’ ৯৬ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
সূত্র : আলজাজিরা ও টিআরটি ওয়ার্ল্ড