২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তার মৃত্যুতে কষ্ট পেয়েছে আল-আকসার পশু-পাখিরাও

গাসসান ইউনুস আবু আইমান - ছবি - সংগৃহীত

ইসরাইল অধিকৃত জেরুসালেমের ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা এক বৃদ্ধের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন। মসজিদ আল-আকসার ‘আবু হুরাইরা’ (বিড়াল দলের বাবা) হিসেবে পরিচিত ৭১ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ গত মঙ্গলবার করোনাভাইরাস সংক্রমণে ইন্তেকাল করেন।

গাসসান ইউনুস আবু আইমান প্রায় তিন দশক আল-আকসা মসজিদের আঙিনায় জমা হওয়া বিড়াল ও পাখিদের খাইয়ে আসছিলেন। এর জন্য প্রতিদিন হাইফা জেলার আরা গ্রামের নিজের বাড়ি থেকে এক শ’ কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে জেরুসালেমের আল-আকসায় আসতেন তিনি। কখনো তিনি নিজে যেতে না পারলে, নিজের বন্ধু ও স্বজনদের পাঠাতেন আল-আকসার আঙিনায় বিড়াল ও পাখিদের খাওয়াতে।

আল-আকসা মসজিদের বিড়ালদের খাবার দেয়া ও যত্ন নেয়ার কারণে তিনি জেরুসালেমের বাসিন্দাদের কাছে আল-আকসার ‘আবু হুরাইরা’ হিসেবে পরিচিতি পান।

গাসসান ২০১৬ সালে আলজাজিরার কাছে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমার চলার সময় সবদিক থেকেই সব বিড়ালকে আমার কাছে আসতে দেখি। তারা আমার সাথেই চলতে থাকে যতক্ষণ না আমি কুব্বাতুস সাখারার (ডোম অব রক) আঙিনায় পৌঁছাই।’

অপর এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে এই দায়িত্বের সম্মান দিয়েছেন...বিড়ালগুলো আমাকে ভালোই চেনে এবং আমি তাদের সাথে খুবই ঘনিষ্ঠ।’

জেরুসালেমের বাসিন্দা ও অন্য ফিলিস্তিনিরা গাসসানের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই শোক প্রকাশ করেন ও গাসসানের সাথে তাদের স্মৃতি তুলে ধরেন।

মারওয়া হাসিন নামে একজন তার টুইট বার্তায় লিখেন, ‘কিয়ামতের দিন আল-আকসার পাখি ও বিড়াল এমনকি মানুষও সাক্ষ্য দেবে আপনি কী করেছিলেন।’

আলিয়া তিমা নামে অপর একজন টুইটারে গাসসানের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে শিশুদের গণনা শেখানোর এক ভিডিও প্রকাশ করেন।

রিদওয়ান ওমর নামে জেরুসালেমের বাসিন্দা অপর এক ফিলিস্তিনি গাসসানের বিভিন্ন ছবি সংযুক্ত করে একটি শোকবার্তা পোস্ট করেন। এতে তিনি লিখেন, ‘আজকে সবাই আপনার জন্য কাঁদছে। শিশু, পাখি, পাথর, (আল-আকসার) আঙিনা, সবাই। যারাই আপনাকে চিনতো, আপনাকে ভালোবাসতো।’


সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর, মিডল ইস্ট আই


আরো সংবাদ



premium cement