ফিলিস্তিনের ‘গাল্লি বয় রানা’ গানে গানে মাতৃভূমির স্বাধীনতার কথা বলে
- বেলায়েত হুসাইন
- ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৫৪, আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:০৬
শিরোনাম দেখে চমকে গেছেন! বাংলাদেশের গাল্লি বয় রানা ফিলিস্তিনে গেল কিভাবে? আসলে ব্যাপারটি ঠিক এরকম নয়। সম্প্রতি যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ১১ বছর বয়সী একটি বিস্ময় বালক আলোচনায় উঠে এসেছে- যে কিনা বাংলাদেশের ক্ষুদে র্যাপার রানার মতো গান গায়। রানার মতোই গানে গানে নিজের জীবনের সুখ-দুঃখ ফুটিয়ে তোলে। খাঁটি আরব হয়েও অসাধারণ দক্ষতায় ইংরেজিতে র্যাপ সংগীত গেয়ে মাত করে ফেলেছে গোটা আরব দুনিয়াকে- এসব দিক থেকে রানার সাথে তার দারুণ মিল- সেই হিসেবেই তাকে ফিলিস্তিনের ‘গাল্লি বয় রানা’ নামে উল্লেখ করা হয়েছে।
তার আসল নাম আব্দুর রহমান আশ শুনতি। দুই বছর আগে, তার বয়স যখন ৯, তখন থেকেই র্যাপ সংগীত গাইতে শুরু করে। তার স্বপ্ন ছিল, গানের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানাবে গাজায় তারা কিভাবে জীবনযাপন করে? বিশ্বের উন্নত দেশসমূহের শিশুরা যেভাবে মায়ের কোলে ঘুমায় তার দেশের শিশুরাও যেন সেভাবে আরামে ঘুমাতে পারে- এই ইচ্ছা সবার সামনে তুলে ধরা।
এই স্বপ্ন নিয়ে ইংরেজি চর্চা শুরু করে এবং নিজেই নিজের গানের কথা লিখে গাইতে থাকে। এভাবে ফিলিস্তিনজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে আব্দুর রহমান শুনতি। তবে পৃথিবীব্যাপী সে আলোচনায় উঠে এসেছে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহে ভাইরাল হওয়া তার একটি ভিডিও গানের মাধ্যেমে। ভিডিওতে দেখা যায়, তার স্কুলের সামনে কয়েকজন খুদে সহপাঠীকে নিয়ে একটি গান গাইছে সে। গানের কথাগুলোর বাংলা অনুবাদ এরকম- এটি আমাদের দেশ, তোমাকে জানাবো- কিভাবে আমাদের দেশ চলে? আমরা ভালোবাসা ও শান্তি কামনা করি। অথচ এখানে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর আশংকা, অনিশ্চিত ভবিষ্যত। গুলির গর্তের আড়ালে আমার জীবনের মাপকাঠি... আমরা বিশ্বের দিকে তাকিয়ে থাকি, অথচ আল্লাহ ছাড়া বিশ্ববাসীর খুব অল্প লোকই আমাদের খবর রাখে।
তথ্যসূত্র : আলজাজিরা আরবি, আল কুদস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা