দুই বছর আগেই গোপনে আমিরাত গিয়েছিলেন নেতানিয়াহু
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৫৪
দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হওয়ার দুই বছর আগেই গোপনে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে গিয়েছিলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ২০১৮ সালের ওই সফরে তিনি আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সম্প্রতি ইসরাইলি সংবাদপত্র ইদিওথ অহরনোথের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পত্রিকাটিকে তাদের কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, নেতানিয়াহু ও মোহাম্মদ বিন জায়েদের বৈঠকটি খুবই ভালো পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় এক বছর পর ওয়াশিংটনে আবারো বৈঠক হয় ইসরাইল-আমিরাতের শীর্ষ কর্মকর্তা ও কূটনীতিকদের মধ্যে। ওই বৈঠকে ইসরাইলের প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেয়ার বেন-শাব্বাত এবং যুক্তরাষ্ট্র ও আমিরাত সরকারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইদিওথ অহরনোথের খবর অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত রন ডারমার ইসরাইল-আমিরাত চুক্তিতে দুই পক্ষের সমঝোতায় বড় অবদান রেখেছেন। পত্রিকাটির এ খবরের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইসরাইল সরকার। তবে গত কয়েক বছরে আরব বিশ্বের মুসলিম নেতাদের সাথে গোপনে একাধিক বৈঠক হওয়ার কথা জানিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নিজেই।
গত সোমবার ইসরাইল-আমিরাতের মধ্যে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হওয়া উপলক্ষে আবুধাবিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমি আরব এবং মুসলিম বিশ্বের অনেক নেতার সাথে সাক্ষাৎ করেছিÑ আপনারা যা ভাবছেন তার চেয়েও বেশি। আমি এখন এর বেশি বলতে পারব না। তবে আমার বিশ্বাস, সেগুলো ঘটনাক্রমে সামনে চলে আসবে।’
দুই দেশের মধ্যে চুক্তির পর সুসম্পর্কের ধারা আরও এগিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই ১৯৭২ সালের ইসরাইল বয়কট আইন বাতিল করে ইসরাইলি ব্যবসায়ীদের জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছে আমিরাত। তাদের মতো আরবের অন্য দেশগুলোও একই পথ বেছে নেবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও চলতি মাসেই সৌদি রাজ পরিবারের এক সিনিয়র সদস্য জানিয়েছেন, রিয়াদ ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে কেবল ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পরেই।
গত ১৩ আগস্ট ইসরাইল ও আমিরাতের মধ্যে নতুন একটি চুক্তির কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এ চুক্তি অনুসারে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ভূমি অধিগ্রহণ বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল। তবে ফিলিস্তিনিরা চুক্তিটিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের দাবি, এই চুক্তিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার উপেক্ষা করা হয়েছে।
তা ছাড়া ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, আমিরাতের সাথে চুক্তির শর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনি ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করা হয়েছে মাত্র, পুরোপুরি বাতিল করা হয়নি। তার এ ঘোষণাতেও আমিরাতের সাথে হওয়া চুক্তির বিষয়ে অস্পষ্টতা দেখা দিয়েছে।
সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর