২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আল আকসার প্রধান ইমামকে মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের

আল আকসার প্রধান ইমামকে মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলের - ছবি : সংগৃহীত

আল আকসা মসিজদ চত্বরে দিনকয়েক আগে ফজরের নামাজের পর ফিলিস্তিনিরা যখন মহান ফজর কর্মসূচি পালন করছিলেন তখন ইসরাইলি সেনারা তাতে বাধা দেয়। এমনকী মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদেরকে মারধর করে। আহত হন বহু মুসল্লি। তাছাড়া গ্রেফতার করা হয় মুসল্লিদেরকে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই উসকানি মূলক বক্তৃতা দেয়ার অভিযোগ এনে আল আকসা মসজিদে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয় আল আকসা মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম ও খতিব শায়খ ইকরিমা সাবরিকে।

ইকরিসা সাবরি শুধু আল আকসার খতিব নন, তিনি জেরুসালেমের সর্বোচ্চ ইসলামিক পরিষদের চেয়ারম্যানের পদেও রয়েছেন। তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে এক সপ্তাহের জন্য আল আকসায় ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। শুধু ইমাম সাবরি নন, আল আকসার আর এক ইমাম শায়খ আহমেদ আবু গাজালাকেও এক সপ্তাহের জন্য আল আকসা মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ইমাম সাবরির পুত্র আম্মার জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবারও ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এক নির্দেশ জারি করেছে যেখানে বলা হয়েছে ইমাম সাবরি আগামী চারমাস ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রবেশ করতে পারবেন না। উল্লেখ্য, মক্কা ও মদিনার পর মুসলিমরা জেরুসালেমের আল আকসা মসজিদকে বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ বলে মনে করে।

আল আকসা মসজিদের প্রধান ইমাম শায়খ ইকরিমা সাবরির বিরুদ্ধে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদেরকে উসকানি দেওয়অর অভিযোগ এনেছে। ইসরাইল বলছে, ইকরিমা সাবরি নাকি গত শুক্রবার জুম্মার খুতবায় ইসরাইল বিরোধী নানা কথা বলেছেন। এর ফলে ফিলিস্তিনিদেরকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তার জেরেই ওই ইমামের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই নিষেধাজ্ঞার কথা শায়খ ইকরিমা সাবরি নিজেই এক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রথমে তাকে ইসরাইলি পুলিশ জেরুসালেমের আল-কিশলাহ পুলিশ স্টেশনে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ডেকে পাঠায়। তারপর পুলিশ তাকে জানিয়ে দেয়, আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আল-আকসা মসজিদে তিনি প্রবেশ করতে পারবেন না। এই নিষেধাজ্ঞাকে অনেকে পরিকল্পিত বলে অভিহিত করছেন। কারণ, আগেই নাকি শায়খ ইকরিমা সাবরি বাড়িতে ইসরাইলি পুলিশ তল্লাশি চালাবে ও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেক বলে নোটিশ পাঠিয়েছিল।

এ বিষয়ে ওয়াদি হিলডওয়ে নামে বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবারের খুতবায় উসকানি দেয়ার অভিযোগে সাবরিকে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদ করে ইসরাইলি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পরে শায়খ ইকরিমা সাবরির নিষেধাজ্ঞাদেশের কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। রোববার সেই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ।

তবে, ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জনিয়েছে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার ভোর থেকেই জেরুসালেমের মুসলিম বাসিন্দাদের উপর নানা নজরদারি কঠোর করে ইসরাইলি পুলিশ। এমনকী সিলওয়ানের কয়েকটি দোকান ও বাসস্ট্যান্ডে ইসরাইলি সেনারা অভিযান চালিযে ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ।

যদিও, ইমাম শায়খ ইকরিমা সাবরিকে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ফিলিস্তিনিরা অবাক নয়। কারণ, এর আগেই এই ইমামের উপর আল আকসা মসিজদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর/পূবের কলম


আরো সংবাদ



premium cement