উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে ন্যাটোর প্রশিক্ষণ স্থগিত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ২০:৫৬
শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) ভোরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে মার্কিন সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। ওই হামলায় জেনারেল সোলাইমানির সঙ্গে ইরাকের জনপ্রিয় সরকারপন্থি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবি’র উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ দু’দেশের মোট ১০ সেনা ও কমান্ডার নিহত হন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই এই হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, মার্কিন সেনা, নাগরিক ও স্বার্থকে রক্ষা করতেই জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই হত্যাকাণ্ড নাড়া দিয়েছে সারা বিশ্বকে। ইরান এই হত্যাকাণ্ডের কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছে। এর ফলে অস্থির হয়ে উঠেছে বৈশ্বিক অর্থনীতি। বেড়ে গেছে তেলের দাম। যেকোন সময় মধ্যপ্রাচ্যে আবারো যুদ্ধের দামামা বেজে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সবাই।
এদিকে উদ্ভুদ এই পরিস্থিতিতে ইরাকে সেনাদের প্রশিক্ষণে নিয়োজিত ন্যাটোর কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য ন্যাটোর কয়েকশ সদস্য দেশটির রাজধানী বাগদাদে নিয়োজিত ছিল। তাদের সেই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র।
ন্যাটোর মুখপাত্র ডিলান হোয়াইট জানান, ইরাকে তাদের মিশন চলবে, তবে তা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
এদিকে সোলেইমানিকে হত্যার পর বেশ কিছু সতর্ক পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই দেশটির নাগরিকদের দ্রুত ইরাক ত্যাগের পরামর্শ দেয়া হয়।
এক বিবৃতিতে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দ্রুত ইরাক ত্যাগের নির্দেশনা দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকরা যেন যেকোনভাবে বিমান ধরে দেশ ত্যাগ করে। ফ্লাইট ধরতে না পারলে সড়ক পথে ইরাকের পার্শ্ববর্তী দেশে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকরা যেন বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় না চায়, কেননা চলমান পরিস্থিতিতে দূতাবাসের সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে আরো তিন হাজার সৈন্য পাঠানোর ঘোষণাও দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ অঞ্চলে গত কয়েকমাস ধরেই সৈন্য মোতায়েন করছিল ওয়াশিংটন। গত বছরের মে মাস পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে মোট ১৪ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : ডয়চে ভেলে।