ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়েহ : হামাসের ক্ষোভ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ মার্চ ২০১৯, ১৬:৫৯, আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৯, ১৭:০৩
ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন মোহাম্মদ শতায়েহ। সাবেক সরকারের মন্ত্রী হিসেবে থাকা শতায়েহর এ নিয়োগে ক্ষোভ জানিয়েছে হামাস। তারা এ সরকারকে স্বীকৃতি দিবে না বলে জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ জানান, আব্বাস তার দীর্ঘদিনের সহযোগী মোহাম্মদ শতায়েহকে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। গত রোববার শতায়েহকে নিজ কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে তাকে নতুন সরকার গঠন করতে বলেন মাহমুদ আব্বাস।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে আরো বেশি বিচ্ছিন্ন করে দিতেই শতায়েহকে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী রামি হামাদাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আব্বাস। হামাস ও ফাতাহ’র মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের সময়ে পূর্ববর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন প্রশাসনে ছোট দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব থাকলেও সেখানে ফাতাহ’র আধিপত্য থাকবে। নতুন প্রশাসনে হামাস অন্তর্ভুক্ত থাকছে না বলেও জানা গেছে।
এদিকে শতায়েহকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের খবরে ক্ষোভ জানিয়েছে হামাস। এ বিবৃতিতে তারা জানায়, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে আব্বাসের একতরফাবাদ ও ক্ষমতার একাধিপত্য প্রতিফলিত হয়েছে। হামাস দৃঢ়ভাবে জানায়, এ বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকারকে স্বীকৃতি তারা স্বীকৃতি দিচ্ছে না। কারণ এটি কোনো প্রকার জাতীয় সম্মতি ছাড়াই গঠিত হয়েছে।
রামি হামাদাল্লাহর সরকার গত জানুয়ারির শেষের দিকে পদত্যাগ করে। তবে নতুন মন্ত্রিসভা প্রস্তুত হওয়ার আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে কাজ করছে তারা।
আরো পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীসহ ফিলিস্তিনের মন্ত্রিসভার পদত্যাগ
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩১
পদত্যাগ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি আল-হামদাল্লাহ ও তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রী সভা। ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
এই পদত্যাগে ফিলিস্তিনের শাসন ব্যবস্থায় মাহমুদ আব্বাসের প্রভাব আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি আব্বাস। এছাড়া পদত্যাগের এ ঘটনা গাজার হামাস সরকারের সাথে আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলনের সম্প্রীতির প্রচেষ্টাকে সংশয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকের পর সরকার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত রামি আল হামদাল্লাহু কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মাহমুদ আব্বাস বা তার কোন মুখপাত্রের কাছ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দু’দিন আগে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফাতাহ’র এক বৈঠকে বর্তমান সরকারের পরিবর্তে নতুন একটি সরকার গঠনের সুপারিশ করা হয়েছিল। হামাসের এক কর্মকর্তা এর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এ পদক্ষেপ দলটিকে ফিলিস্তিনের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া এবং একঘরে করে ফেলারই চেষ্টা। হামাস আরও বলেছে, ‘ফিলিস্তিনের রাজনীতি থেকে হামাসকে একঘরে করা ও হঠানোর প্রচেষ্টার অংশ এটি।’
২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করছে হামাস। তখন ফাতাহ’র নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিন সরকার পশ্চিম তীর ভিত্তিক হয়ে পড়ে। ২০১৪ সালে হামাসের সাথে ফাতাহ গ্রুপের ঐক্য পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে চেষ্টা চালান শিক্ষাবিদ রামি হামাদাল্লাহ। পরে তার নেতৃত্বে উভয় দলের সদস্যদের অংশগ্রহণে ফিলিস্তিন সরকার গঠিত হয়। কিন্তু ক্ষমতার ভাগাভাগি কীভাবে হবে এবং ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে- এমন প্রশ্নে দ্বন্দ্ব মেটানো সম্ভব হয়নি। এরই জেরে পদত্যাগ করল রামির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা