যুদ্ধবিরতি চুক্তি ব্যর্থ করতে নেতানিয়াহু ‘নোংরা খেলা’ খেলছেন : হামাস
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫০, আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৬

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করার জন্য অভিযুক্ত করে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য বাসেম নাইম বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ব্যর্থ করতে নেতানিয়াহু ‘নোংরা খেলা’ খেলছেন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
বাসেম নাইম জানান, আগামী ১ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হবে। এর আগেই হামাস ও ইসরাইলের আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পর্যায় নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ইসরাইল চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনায় যুক্ত হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আবারো চুক্তিটি নষ্ট করার ও তা গুরুত্বহীন করার নোংরা খেলা খেলছে ইসরাইল। এর মাধ্যমে আবার যুদ্ধে ফিরে যাওয়ার বার্তা পাঠানো হচ্ছে।’
তিনি জানান, হামাস চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং চুক্তির অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলে।
এ সময় তিনি ইসরাইলকে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করে বলেন, ‘চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। চুক্তিতে সম্মত মানবিক সাহায্যের বেশিভাগই গাজায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এছাড়াও নেটজারিম করিডোর থেকে সৈন্য প্রত্যাহার স্থগিত করা হয়েছে।’
এ মাসের শুরুতে ইসরাইলি কর্মকর্তারা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন যে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামাসের চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগটি সঠিক। তবে ইসরাইলি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তা অস্বীকার করেছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইল গাজায় ৬০ হাজার ভ্রাম্যমাণ ঘর ও দুই লাখ তাঁবু স্থাপনের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু সেই শর্ত পূরণ হয়নি। ইসরাইলের যুদ্ধে গাজার ২৪ লাখ ফিলিস্তিনির ৯০ শতাংশেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং এর বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এর আগে, নেতানিয়াহু গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার হুমকি দেন। সে সময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গাজা উপত্যকা দখল করার এবং ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার প্রস্তাবের প্রতি তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ট্রাম্প এখন সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, শনিবার চুক্তি অনুযায়ী সপ্তম ধাপে হামাস ছয়জন ইসরাইলি পণবন্দীকে মুক্তি দিলেও ইসরাইল ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা