লেবাননে ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহারের পর ২৩ লাশ উদ্ধার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৯

লেবাননের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ মঙ্গলবার জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের পর তারা দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলো থেকে ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে।
এক বিবৃতিতে বিভাগটি জানিয়েছে, তাদের উদ্ধারকারী দলগুলো লেবাননের সেনাবাহিনীর সাথে সমন্বয় করে ইসরাইলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে অনুসন্ধান ও মাঠ মূল্যায়ন অভিযান পরিচালনা করছে।
বিবৃতি অনুসারে, দলগুলো মেইস এল জাবাল শহরে ১৪টি, মারকাবায় তিনটি, কেফারকেলায় তিনটি এবং ওদাইসেহে তিনটি লাশ উদ্ধার করেছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, লাশগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ডিএনএ পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও আইনি পরীক্ষা করা হবে।
ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে আহত এক ব্যক্তিকে ইমার্জেন্সি টিম মেইস এল জাবাল থেকে তেবনিন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবারে লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) জানায়, সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময় দক্ষিণ লেবাননের দখলকৃত গ্রাম ও শহরগুলো থেকে ইসরাইলি বাহিনী তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে লেবাননের সীমান্তের পাঁচটি স্থানে ইসরাইলি বাহিনী অবস্থান করছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে ইসরাইল ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে সময়সীমা ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়।
তা সত্ত্বেও ইসরাইল তাদের প্রত্যাহার বিলম্বিত করে চলেছে। সৈন্য প্রত্যাহারে কোনো আনুষ্ঠানিক সময়সীমা না দিয়েই লেবাননের অভ্যন্তরে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে তারা সৈন্য মোতায়েন করেছে।
ইসরাইল ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর লেবাননের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। ২৩ সেপ্টেম্বর এ অভিযান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয়। এ সংঘাতের ফলে চার হাজার ১০৯ জন নিহত এবং ১৬ হাজার ৮৯৯ জন আহত হয়েছেন এবং প্রায় এক দশমিক চার মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা