১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৬ শাবান ১৪৪৬
`

৩ ইসরাইলি বন্দীকে হস্তান্তর করল হামাস

৩ ইসরাইলি বন্দীকে হস্তান্তর করল হামাস - ছবি : সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস তিন ইসরাইলি পণবন্দীকে হস্তান্তর করেছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আলেকজান্ডার ট্রুফানোভ, সাগুই ডেকেল-চেন ও ইয়ার হর্ন নামে তিন ইসরাইলি বন্দীকে আইসিআরসি-র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের মুক্তির বিনিময়ে ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল।

আল-জাজিরা আরো জানিয়েছে, উভয় পক্ষের কয়েক ডজন যোদ্ধার উপস্থিতিতে, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে কোনো ঝামেলা ছাড়াই তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মুক্তির অপেক্ষায় থাকা কারাবন্দীদের মধ্যে ৩৩৩ জনই গাজার বাসিন্দা। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর বিভিন্ন সময়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। বাকি ৩৬ জন যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজাপ্রাপ্ত।

এদিকে ২০২৩ সালে ইসরাইলের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যে আড়াই শতাধিক মানুষকে পণবন্দী হিসেবে গাজায় নিয়ে এসেছিল হামাস, তাদের মধ্যে এই তিনজনও ছিলেন।

হামাস জানিয়েছে, তারা আশা করছে যে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ইসরাইলের সাথে পরোক্ষ আলোচনা আগামী সপ্তাহে শুরু হবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এ হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ২৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত এক লাখ ১১ হাজার ৬৭৬ ফিলিস্তিনি।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।

জাতিসঙ্ঘের হিসাব মতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসাথে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে।
সূত্র : আল-জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement