যুদ্ধবিরতি মেনে চলাই পণবন্দী মুক্তির একমাত্র পথ : হামাস
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:৪৬
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19692088_182.jpg)
‘যুদ্ধবিরতি মেনে চুক্তির শর্তগুলোকে মর্যাদা দেয়াই পণবন্দীদের মুক্তির একমাত্র পথ’ বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহারি।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যের পর তিনি এ কথা জানান।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘শনিবারের মধ্যে সব পণবন্দীকে মুক্তি না দিলে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করা হবে।’
এ দিকে হামাসের অভিযোগ, ‘ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করার পাশাপাশি হুমকি দিয়েছে, শনিবার যে তিনজন পণবন্দীকে ছেড়ে দেয়ার কথা রয়েছে, তাদের মুক্তি দিতে বিলম্ব হবে।’
এ অভিযোগের পরই সোমবার ট্রাম্প ওই মন্তব্য করেন। হোয়াইট হাউসে তিনি বলেন, ‘আমার মতে, শনিবার বেলা ১২টার মধ্যে যদি সব পণবন্দীকে ফেরানো না হয়- আমার মতে, এটাই উপযুক্ত সময়- আমি বলব, এটা (যুদ্ধবিরতি চুক্তি) বাতিল করে দিন এবং সমস্ত জুয়া বন্ধ এবং নরক উন্মুক্ত হোক।’
মঙ্গলবার সংবাদদাতাদের হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহারি বলেন, ‘ট্রাম্পের মন্তব্য ভঙ্গুর চুক্তিকে জটিল করে তুলছে।’
এর আগে সোমবার হামাস বলেছে, ‘পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেয়া পর্যন্ত আর কোনো পণবন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে না।’
তাদের অভিযোগ, ‘বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের গাজার উত্তরাঞ্চলে ফেরাকে বিলম্বিত করছে ইসরাইল, যদিও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রত্যাবর্তন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য বেশ কয়েকটি দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।’
হামাস আরো বলেছে, ‘বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা ও গুলি ছুঁড়ে ফিলিস্তিনিদের নিশানা করা হয়েছে।
তারা বলেছে, ‘সম্মতি অনুযায়ী মানবিক ত্রাণ প্রবেশকে সহজতর করতে’ ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইল।’
এ দিকে জাতিসঙ্ঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ১২ হাজার ৬০০টি মানবিক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে এবং দুর্ভিক্ষের তাৎক্ষণিক হুমকি আটকানো গেছে।’
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেছেন, ‘হামাস কোনো রকম বিলম্ব করলে তা হবে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।’
তিনি ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রেখেছেন।
উল্লেখ্য, গত মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে হামাস ১২ জন পণবন্দীকে মুক্তি দিয়েছে এবং ইসরাইল ৭৩০ জনের বেশি কারাবন্দীকে ছেড়ে দিয়েছে।
ইসরাইলের জেলে বন্দী কয়েক শ’ ফিলিস্তিনির বিনিময়ে আরো তিনজন ইসরাইলিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে পরবর্তী বিনিময়ের দিন, অর্থাৎ আগামী শনিবার।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা