০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ৭ শাবান ১৪৪৬
`

গাজা নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যের বিরোধিতা চীনের

গাজা নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যের বিরোধিতা চীনের - ছবি : সংগৃহীত

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেয়ার এবং ছিটমহলটি দখল করার জন্য ট্রাম্পের চাপের বিরোধিতা করে বেইজিং।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, চীন ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ জাতীয় অধিকারকে সমর্থন করে।

জিয়াকুন আরো বলেন, ‘গাজা ফিলিস্তিনিদেরই, এটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ, রাজনৈতিক দর কষাকষির বিষয় নয়’।

এর আগে ২০২৩ সালের শেষের দিকে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছিল চীন।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজার ভবিষ্যতের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত অবশ্যই ফিলিস্তিনি জনগণের ইচ্ছা এবং স্বাধীন পছন্দকে সম্মান করে করতে হবে, তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া উচিত নয়।

এদিকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অপসারণে ইউএস প্রেসিডেন্ট যে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তার বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিয়েছে ৫টি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর কাছে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন তারা।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে পাঠানো ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তাদের পাশাপাশি ওই চিঠিতে সই করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হুসেইন আল শেখ।

তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিষয়ে সপ্তাহান্তে কায়রোতে আরব দেশগুলোর কূটনীতিকদের একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মার্কো রুবিও’র কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজার পুনর্গঠন সেখানকার জনগণের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততার মাধ্যমেই হওয়া উচিত। ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূখণ্ডে বাস করবে এবং তারা পুনর্নির্মাণে সহায়ত করবে।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, উপত্যকাটি পুনর্গঠনের সময় গাজাবাসীর এজেন্সি কেড়ে নেয়া উচিত নয়। কেন না, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মালিকানা অবশ্যই গাজবাসীদের কাছে রাখতে হবে।
সূত্র : আল-জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement

সকল