৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

আজ ইসরাইলের ৮ বন্দীকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস

বিধ্বস্ত গাজার একটি দৃশ্য - ছবি : আল জাজিরা

ইসরাইলের আট বন্দীকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) গাজার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের মুক্তি দেয়া হবে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার গাজার বিভিন্ন স্থান থেকে আট ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে পাঁচজন থাই নাগরিক, একজন নারী সৈন্য ও দু’জন সাধারণ নাগরিক রয়েছে।

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছেন ইসরাইলি নারী সৈন্য আগাম বার্জার। এদিন তাকে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি বিধ্বস্ত ভবন থেকে বাহির করে আনা হয়। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তারা এই শিবিরে বারবার হামলা চালিয়ে ছিল।

এর আগে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) চার ইসরাইলি নারী সেনা সদস্যকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। এর বিনিময় ইসরাইল ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।

জাতিসঙ্ঘের হিসাব মতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসাথে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে

সূত্র : আল জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement