প্রত্যাহারের সময়সীমার পরও দক্ষিণ লেবাননে থাকবে ইসরাইলি বাহিনী
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৩, আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৫
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় শুক্রবার জানিয়েছে, চুক্তির শর্তগুলো পূরণ না হওয়ায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে নির্ধারিত সময়সীমার পরেও ইসরাইলি বাহিনী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে থাকবে।
এই চুক্তি অনুযায়ী লিতানি নদীর দক্ষিণের অঞ্চলগুলো থেকে হিজবুল্লাহর অস্ত্র ও যোদ্ধাদের সরিয়ে নিতে হবে এবং ওই অঞ্চলে লেবাননের সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হলে ইসরাইলি সৈন্যদের সরে যেতে হবে। এর সব কিছুই সম্পন্ন করার কথা ৬০ দিনের সময়সীমার মধ্যে যা রোববার ভোর ৪টায় শেষ হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত চুক্তির ফলে ইসরাইল ও ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা বৈরিতার অবসান ঘটে। সংঘাত ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছায় যখন ইসরাইলের বড় পরিসরে আক্রমণে হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং লেবাননে ১২ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হন।
এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া ‘দক্ষিণ লেবাননে দেশটির সামরিক বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি লিতান জুড়ে হিজবুল্লাহর প্রত্যাহার এবং চুক্তির পূর্ণ ও কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করে।’
বিবৃতিটিতে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু যুদ্ধবিরতি চুক্তি লেবাননে এখনো সম্পূর্ণভাবে প্রয়োগ করা হয়নি, তাই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পূর্ণ সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’
বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহ জানায়, সেনা প্রত্যাহারে ইসরাইলের কোনো বিলম্ব হলে তা অগ্রহণযোগ্য হবে এবং চুক্তি লঙ্ঘন হবে। এ সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সনদে দেয়া সকল উপায় ও পদ্ধতির মাধ্যমে লেবানন তা মোকাবেলা করবে।
ইসরাইল জানায়, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তাদের অভিযানের লক্ষ্য হলো উত্তর ইসরাইলের হাজার হাজার লোকের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা, যারা হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা