পশ্চিম তীরের জেনিনে গাজার মতো গণহত্যার আশঙ্কা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩
গাজায় গত রোববার থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর, ইসরাইলের মনোযোগ অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর দিকে সরে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির শিন বেট নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান রোনেন বার।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
রোনেন বার বলেন, ইসরাইল একটি বহুমুখী অভিযানের মধ্যে ছিল। কিন্তু এখন সামেরিয়ার (উত্তর পশ্চিম তীর) সময়।
মঙ্গলবার থেকে পশ্চিম তীরের জেনিনে ‘আয়রন ওয়াল’ নামে পরিচিত সামরিক অভিযানটি শুরু হয় একাধিক বিমান হামলা এবং শরণার্থী শিবিরে সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ড্রোন, হেলিকপ্টার ও বুলডোজারের সহায়তায় বাহিনী শহরে প্রবেশের পর থেকে কমপক্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হন ৩৫ জনেরও বেশি।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি অব্যাহত সামরিক চাপের মাধ্যমে জেনিনকে ’একটি ভিন্ন জায়গায়’ নিয়ে আসার কথা বলেন।
বর্তমানে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জেনিনের প্রধান হাসপাতালের প্রবেশপথ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং জেনিনের শরণার্থী শিবিরে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাওয়া অনেকেই জানান, ড্রোন বা ট্রাক থেকে ঘোষণার মাধ্যমে অথবা লিফলেটের মাধ্যমে তারা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ পেয়েছেন।
কিন্তু ইসরাইলের সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, জেনিনের জনগণকে ’স্থানান্তরের কোনো নির্দেশ’ দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ’জেনিনের যারা সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত নয় তারা আমাদের অভিযান থেকে দূরে সরে যেতে পারেন।’
ইসরাইল জানায়, তাদের লক্ষ্য হামাস ও অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে ধ্বংস করা।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ এই অভিযানের জন্য ’কৌশল পরিবর্তনের’ কথা বলে জানান, গাজা থেকে পাওয়া শিক্ষা দিয়ে কেবল ’সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা’ নয়, বরং তাদের ফিরে আসা বন্ধ করতে চায় ইসরাইল।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা