২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ মাঘ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬
`

গাজায় প্রতিটি সড়কে পড়ে আছে লাশ, উদ্ধার আরো ৬৬

গাজায় প্রতিটি সড়কে পড়ে আছে লাশ, উদ্ধার আরো ৬৬ - ছবি : আল-জাজিরা

হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরুর পর বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার গাজাবাসী তাদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। এলাকায় ফেরার পরেই চলছে উদ্ধার অভিযান। উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে যেয়ে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে ও প্রতিটি সড়কে পড়ে আছে লাশ।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরো ৬৬টি লাশ উদ্ধার করেছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িঘর ও ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তারা এ লাশ উদ্ধার করেছে।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ আরো জানিয়েছে, ৫৮টি লাশ দক্ষিণ গাজায় এবং আটটি উত্তরে পাওয়া গেছে।

ভারী বোমাবর্ষণ ও লাশগুলো কয়েক মাস ধরে ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে থাকার কারণে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া জটিল হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা বিভাগ।

এদিকে বিবিসির ইংরেজির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার উদ্ধারকারীরা ধ্বংসের পরিমাণ বিবেচনা করতে যেয়ে দেখেছেন, গাজায় প্রতিটি সড়কে লাশ পড়ে আছে।

উদ্ধারকারী সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বিবিসিকে বলেছেন, তারা ১০০ দিনের মধ্যে লাশ উদ্ধার করার আশা করছেন। তবে বুলডোজার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে তা বিলম্বিত হতে পারে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ইসরাইলি হামলায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত এক লাখ ১১ হাজার ৯১ ফিলিস্তিনি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, নিহত ও আহতের সংখ্যা আরো বেশি। এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় আটকা পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে না পারায় সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।

জাতিসঙ্ঘের হিসাব মতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসাথে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে।
সূত্র : আল-জাজিরা ও বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যর্থতা : পদত্যাগের ঘোষণা ইসরাইলি সেনাপ্রধানের জামায়াতের সাবেক উপজেলা আমির কাশেম মণ্ডলের পিএইচডি অর্জন আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার স্বীকৃতি চায় ময়মনসিংহ যুক্তরাষ্ট্রে আরো রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ‘ছাত্রশিবিরের নামে নানারকম প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিল’ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সেবার মান বাড়াতে আইজিপির নির্দেশ নাইকো দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু কেয়া গ্রুপের আরো ২টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জার্মানি গাজীপুরে ঝুটের ৩টি গুদামে আগুন

সকল