তিন বন্দীর নাম প্রকাশ করল হামাস, গাজায় ইসরাইলি হামলায় ১০ জন নিহত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩২
হামাস ইসরাইলের তিন নারী বন্দীর নাম প্রকাশ করেছে। তাদেরকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় প্রথম ধাপে মুক্তি দেয়া হবে। টেলিগ্রামে এক পোস্টে তারা এসব নাম প্রকাশ করে। এরা হলেন রোমি গোনেন, এমিলি দামারি ও ডরন স্টেইনব্রেচার।
ওদিকে হামাসের নাম প্রকাশের বিলম্বের মধ্যেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে ১০ জন নিহত হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ইসরাইলি বন্দী ও ফিলিস্তিনি বন্দী বিনিময়ের ২৪ ঘণ্টা আগেই নামের তালিকা দেয়ার কথা। এক্ষেত্রে ইসরাইলের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিল হামাস। তারা বলেছিল, ইসরাইল যেন হামলা বন্ধ রাখে। তাহলে বন্দীদের তালিকা তৈরি সহজ হবে। কিন্তু ইসরাইল এক্ষেত্রে কোনো সহযোগিতা করেনি।
এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধে নিহত একজন ইসরাইলি সেনার দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে তারা।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, গাজায় এক বিশেষ অভিযানে স্টাফ সার্জেন্ট ওরোন শাউলের দেহাবশেষ পেয়েছে তারা, যা এতদিন হামাসের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
হামাসের হাতে আরো তিনজন ইসরাইলি সেনা রয়েছে, যাদের ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে অপহরণ করা হয়েছিল।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরাইলি বন্দী মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইল শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দিবিনিময় হবে।
একই সাথে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি পাবে। পাশাপাশি ত্রাণবাহী লরিগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে।
দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকী বন্দীরা মুক্তি পাবে এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। এর মাধ্যমে ‘টেকসই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’।
আর তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে- যা শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। একই সাথে মৃত ইসরাইলি বন্দীদের লাশ ফেরত দেয়া হবে।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা