১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪ মাঘ ১৪৩১, ১৭ রজব ১৪৪৬
`

গাজা চুক্তির প্রথম ধাপে মুক্তি পাচ্ছে ৩৩ ইসরাইলি বন্দী

বিধ্বস্ত গাজার একটি চিত্র - ছবি : আনাদোলু এজেন্সি

ইসরাইল ও হামাসের দীর্ঘ ৪৬৮ দিনের যুদ্ধের অবসান ঘটেছে যুদ্ধবিরতি ও বন্দীবিনিময় চুক্তির মধ্য দিয়ে। চুক্তির প্রথম ধাপে আজ মুক্তি পাচ্ছে ৩৩ ইসরাইলি বন্দী। তাদের নামগুলোর ইসরাইলের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরাইলি গণমাধ্যম টাইমস অফ ইসরাইলের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘তালিকাটি প্রকাশের ক্রম অনুসারে নয়।’ তবে স্থানীয় আরেকটি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ দাবি করেছে, ঠিক এই তালিকাটিই গত মাসে হামাস অনুমোদন করেছিল এবং কয়েক মাস আগে ইসরাইল এই তালিকাটিই হামাসকে দিয়েছিল।

তালিকায় থাকা নামগুলো হলো লিরি আলবাগ, ইতজাক এলগারাত, করিনা আরিয়েভ, ওহাদ বেন আমি, এরিয়েল বিবাস, ইয়ার্ডেন বিবাস, কেফির বিবাস, শিরি বিবাস, আগম বার্গার, গনেন রোমি, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, এমিলি দামারি, সাগুই ডেকেল চেন। আইয়ার হর্ন, ওমের ওয়েঙ্কার্ট, আলেকজান্ডার সাশা ট্রুফানোভ, আরবেল ইহুদ, ওহাদ ইয়াহলোমি, এলিয়া কোহেন, অর লেভি, নামা লেভি, ওডেড লিফশিটজ, গাদি মোশে মোজেস, আব্রাহাম (আভেরা) মেনগিস্টো, শ্লোমো মান্তজুর, কিথ স্যামুয়েল সিগাল, সাচি ইদান, ওফার কালদেরন, তাল শোহাম, ডোরন স্টেইনব্রেচার, ওমের শেম তোভ, হিশাম আল -সাঈদ ও এলি শারাবী।

স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে বন্দীদের পরিবারকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

এদিকে, বুধবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসার পরও ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। অবশ্য চুক্তিটি রোববার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তা তিন ধাপে কার্যকর হবে।

প্রথম ধাপে হামাসের হাতে আটক ৩৩ বন্দীর মুক্তির পরিবর্তে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি থাকা ফিলিস্তিনিদের অনেককে ছেড়ে দেয়া হবে। গাজার ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকাগুলো থেকে ইসরাইলি বাহিনী আরো পূর্ব দিকে সরে যাবে। এল ফলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবেন। এছাড়া ত্রাণবাহিনী শত শত ট্রাক প্রতিদিন গাজায় প্রবেশের সুযোগ পাবে।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় স্থান পাবে বাকি বন্দীদের মুক্তি এবং ‘টেকসই শান্তির’ জন্য ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি।

তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে আসবে গাজার পুনর্গঠন। এর জন্য অনকে বছর লেগে যেতে পারে। তবে হামাসের হাতে আর কেউ বন্দী থাকলে তাদের মুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় আসবে এই ধাপে।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আল থানি বলেন, চুক্তির বিষয়গুলো চূড়ান্ত করার পর কয়েকদিনের মধ্যেই এটি সবিস্তারে জানানো হবে।

তিনি আরো জানান, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর এই চুক্তি করার বিষয়ে সহায়তা করেছে এবং তারা ইসরাইল ও হামাস যেন চুক্তির সব শর্ত মেনে চলে, সেজন্যও তারা সচেষ্ট থাকবে।

সূত্র : আল জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement