১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

কাতার বলছে ইসরাইল ও হামাস এখন অস্ত্রবিরতি চুক্তির কাছাকাছি

- ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

মঙ্গলবার কাতার বলেছে যে গাজা ভূখন্ডে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার অস্ত্রবিরতিবিষয়ক আলোচনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে এবং দুই পক্ষ সমঝোতার একেবারে কাছাকাছি রয়েছে।

সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিং-এ কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি চলমান এই আলোচনাকে ইতিবাচক ও ফলপ্রসু বলে বর্ণনা করেন। তবে একই সাথে চুক্তিটির ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত উচ্ছসিত হবার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।

কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র লড়াই বন্ধের জন্য মাসব্যাপী প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং মঙ্গলবারের আলোচনায় চুক্তিটি চূড়ান্ত করার দিকে আলোকপাত করা হচ্ছে।

এর আগে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন যে চুক্তিটি ‘শেষ পর্যন্ত সম্পদিত হবার দোর গোড়ায় রয়েছে।’

বাইডেন তার পররাষ্ট্র নীতির সাফল্য তুলে ধরতে পররাষ্ট্র বিভাগে দেয়া ভাষণে বলেন এই চুক্তি অনুযায়ী ‘পণবন্দিদের মুক্তি প্রদান, লড়াই বন্ধ করা, ইসরাইলের নিরাপত্তা বিধান এবং ফিলিস্তিনি জনগণ যারা, হামাসের শুরু করা যুদ্ধে ভয়াবহভাবে দূর্ভোগের শিকার হয়েছে তাদের জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে মানবিক সহায়তা প্রদান করা।’

এই অস্ত্রবিরতি প্রস্তাবের মূল বিষয়টি হচ্ছে যে নানান পর্বে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে।

২০২৩ সালে উগ্রবাদীরা ইসরাইলে আক্রমণ চালানোর পর থেকে তারা যাদেরকে পণবন্দি করে রেখেছে তাদের মুক্তি দিতে হবে এবং একই সাথে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিবে।

ইসরাইলি সৈন্যরা গাজা থেক পর্যায়ক্রমে সরে আসবে এবং কিছু ফিলিস্তিনি যারা এই সংঘাতে বাস্তচ্যূত হয়েছে তাদেরকে ফেরত আসতে দিতে হবে এবং ফিলিস্তিনি অসামরিক লোকজনের জন্য সহায়তা বাড়াতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এমএসএনবিসিকে সোমবার বলেন যে ‘এই চুক্তির ব্যাপারে আগের যেকোনো সময়ে চেয়ে’ সংশ্লিষ্ট পক্ষরা কাছাকাছি পৌঁছেছে এবং এখন সবটাই নির্ভর করছে হামাসের ওপর।

সোমবার, বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভান বলেন যে বাইডেনের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এই সব আলোচনা সম্পর্কে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপদেষ্টাদের অবহিত করেছেন। ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ আলোচনার এই সর্বসাম্প্রতিক পর্যায়ে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে আক্রমণ চালানোর পর ইসরায়েলও গাজায় হামাসের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালায়। ইসরাইলি হিসেব মতে হামাসের আক্রমণে ১২০০ লোক নিহত হন এবং ২৫০-এরও বেশি লোককে পণবন্দি করা হয়।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের হিসেব অনুযায়ী সেই থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৪৬ হাজার ৫০০ লোককে হত্যা করা হয়েছে তবে ইসরাইল বলছে যে এই মৃতের সংখ্যার মধ্যে হাজার হাজার হামাস যোদ্ধারাও রয়েছে।

ভূমধ্যসাগর বরাবর সরু এক খন্ড ভূমি হচ্ছে গাজার বেশিভাগ, লড়াইয়ের সময়ে এই স্থানটি অবহেলিত হয় এবং মানবিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়। সেখানকার ২৩ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যূত হয়ে পড়ে।

সূত্র : ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement
চকরিয়ায় ডাম্পারচাপায় শ্রমিক নিহত এনসিটিবি ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে হামলা সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা কে হবে মিয়ানমারের আগামীর নীতিনির্ধারক ফ্যাসিবাদীরা বিদেশে অর্থ পাচার করে অর্থনীতি ধ্বংস করেছে : সেলিমা রহমান নোবিপ্রবির সাথে চীনের শিহেজী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর মতিউরের স্ত্রী কানিজ কারাগারে, রিমান্ড শুনানি ১৯ জানুয়ারি মহেশখালীতে প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বে যুবক খুন নাটোরে অগ্নিসংযোগের মামলায় দুলুসহ ৯৪ খালাস ক্রিড়া মন্ত্রণালয় ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়া উচিৎ : নূরুল ইসলাম বুলবুল ব্রাজিলের বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন

সকল