ইসরাইলি হামলায় ১ দিনে আরো ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:১২
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দীদের মুক্তির বিষয়ে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে একটি চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এরই মধ্যে গতকাল সোমবার সকাল থেকে আজ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় আরো ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আল-জাজিরা আরবিকে জানিয়েছে, সোমবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর পৃথক হামলায় ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার ভোরের হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছেন।
এর আগে, আল-জাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছিল, গাজা শহরের কেন্দ্রস্থলে আল-জালা স্ট্রিটের একটি আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে ইসরাইলি বাহিনী ধারাবাহিক হামলা চালায়। এ হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এ হামলায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৫৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত এক লাখ ৯ হাজার ৬৬০ ফিলিস্তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, নিহত ও আহতের সংখ্যা আরো বেশি। এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় আটকা পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে না পারায় সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।
জাতিসঙ্ঘের হিসাব মতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসাথে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।
ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে
সূত্র : আল-জাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা