গাজায় নিহত প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি : ল্যানচেট
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪২
ব্রিটেনের জনপ্রিয় চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী ল্যানচেট জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধের প্রথম নয় মাসে নিহতের যে সংখ্যা ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশ করেছে বাস্তবে এই সংখ্যা তার চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি।
শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী ল্যানচেটের প্রকাশিত গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের প্রথম নয় মাসে গাজায় মৃতের সংখ্যা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রেকর্ডের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি।
এই সাময়িকীটি আরো জানিয়েছে, গাজার জনসংখ্যার প্রতি ৩৫ জনের একজন গত জুলাই মাসের শেষ নাগাদ পর্যন্ত নিহত হয়েছে যা সেখানকার জনসংখ্যার প্রায় দুই দশমিক নয় শতাংশ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৮৭৭ জন।
কিন্তু ল্যানচেটের গবেষণা বা তদন্ত অনুযায়ী গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সর্বমোট সংখ্যা প্রায় ৬৪ হাজার ২৬০ জন যা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি। হাজার হাজার ব্যক্তি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকায় তাদের নিখোঁজের মধ্যে ধরা হচ্ছে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনী হামলায় ৭০ জন নিহত এবং ১০৪ জন আহত হয়েছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এ হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ছয়জনে। আহত হয়েছে আরো এক লাখ নয় হাজার ৩৭৮ জন।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।
জাতিসঙ্ঘের হিসাব মতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসাথে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।
ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে
সূত্র : আরব নিউজ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা