০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`

কাতারের কাছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জি সিরিয়ার

সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাতারে - সংগৃহীত

সিরিয়ার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ সেইবানি রোববারই পৌঁছেছেন কাতারে। ইতোমধ্যেই তার বৈঠক হয়েছে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সাথে। তিনি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও।

কাতার জানিয়েছে, তারা চায় সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটুক। সিরিয়া ফের একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হোক।

এদিকে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাশার আল-আসাদ সরকারের আমলে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞাগুলো চাপিয়েছিল, তা যেন এবার তুলে নেয়া হয়। কাতার যেন এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করে।

এছাড়াও কাতারের সাথে সিরিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে চায় বলে জানিয়েছেন তিনি। পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য কাতারের সাহায্য প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মাত্র দু’সপ্তাহ আগে সিরিয়ায় ক্ষমতা দখল নেয় দেশটির ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। দীর্ঘ দিনের বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়েছে। বাশারের সাথে রাশিয়া এবং ইরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ক্ষমতায় এসেই যেভাবে কাতারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির কথা বলল সিরিয়ার বর্তমান শাসক, তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

রোববার বৈঠকের পর কাতারের তরফে জানানো হয়েছে, সিরিয়ার নতুন প্রশাসনকে তারা স্বাগত জানাচ্ছে। সিরিয়ার মন্ত্রীরা ইতোমধ্যেই তাদের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। সিরিয়াও বিষয়টি স্বীকার করেছে। বলা হয়েছে, গৃহযুদ্ধের ফলে ৯০ শতাংশ সিরিয়ার মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছেন। তাদের কোনো আয় নেই। অনেকের বাড়ি যুদ্ধে ধসে গেছে। সিরিয়ার অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারি কাজের ক্ষেত্রে সকলের বেতন ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, বাশার আল-আসাদের আমলে বিশ্ব রাজনীতিতে সিরিয়ার যে কূটনৈতিক অবস্থান ছিল, এবার তা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাবে। কাতারে গিয়ে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। তারা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এর ফলে তারা যে বিদেশী সাহায্য আরো অনেকটা বাড়াতে পারবে, সে কথাও প্রায় খোলাখুলি বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement