সিরিয়ার সাবেক বিচারপতিকে গ্রেফতার করেছে নতুন প্রশাসন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:১৪
সিরিয়ার সাবেক বিচারপতিকে গ্রেফতার করেছে নতুন প্রশাসন। এ সময় তার সহযোগী আরো ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সিরিয়ার ওয়ার মনিটার সংস্থার সূত্রে ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের সরকারের আমলে হাজার হাজার বিরোধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেলে আটক করে নির্যাতন করা হয়েছে। বহু মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। নতুন সরকার এসে সাবেক আমলের ‘হত্যাকারীদের’ আটক করতে শুরু করেছে বলে সিরিয়া ওয়ার মনিটার সংস্থা জানিয়েছে।
সিরিয়ার মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, যে বিচারপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার নাম মোহাম্মেদ কানজো হাসান। টারটাস অঞ্চল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসাদের সাথে তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। ওই বিচারপতির সাথে আরো ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ওই বিচারপতির সহযোগী বলে জানানো হয়েছে। সেনা বিচারালয়ে ওই বিচারপতি হাজার হাজার বিদ্রোহীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সিরিয়ার মিলিটারি ফিল্ড কোর্ট বা সেনা আদালতের প্রধান ছিলেন কানজো। ২০১১ সালেই সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এরপর গোটা সিরিয়ার সেনা আদালতের প্রধান হিসেবে পদন্নোতি হয় তার। অভিযোগ, এই সময়ে এক মিনিটেরও কম সময়ে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে দিতেন কানজো। ওই সময়ের মধ্যেই তিনি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে দিতেন। অর্থাৎ কার্যত বিনা বিচারে মৃত্যুদণ্ড দিতেন বিদ্রোহীদের।
অভিযোগ রয়েছে, বন্দিদের পরিজনদের থেকে ১৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি টাকা ঘুষ নিয়েছেন এই বিচারপতি। তার বিনিময়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়নি।
সিরিয়ার অন্যতম চর্চিত জেলের নাম সিডনায়া। নির্যাতন, বিচার বহির্ভূত হত্যার জন্য পরিচিত এই কুখ্যাত জেল ছিল আসাদের তৈরি। এখানেই বিদ্রোহীদের ঢুকিয়ে নির্যাতন চালানো হতো। রাজধানী দামাস্ক থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জেল। ২০১১ সাল থেকে এই জেলে অন্তত ৩০ হাজার মানুষকে বন্দি করা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। তার মধ্যে মাত্র ছয় হাজার ব্যক্তি পরে ছাড়া পেয়েছেন। অধিকাংশ মানুষ এখনো নিখোঁজ।
সূত্র : ডয়চে ভেলে