২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সিরিয়ায় বাশারের পতনে বিদ্রোহের আশঙ্কায় দিন গুনছে সিসি

সিরিয়ায় বাশারের পতনে বিদ্রোহের আশঙ্কায় দিন গুনছে সিসি - ছবি : মিডল ইস্ট আই

মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেছেন, আমার হাতে কারো রক্তের দাগ নেই। আমি কারো টাকাও চুরি করিনি। সিরিয়ায় বাশার সরকারের পতনের সপ্তাহখানেক পর সামরিক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সাথে এক বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সিসি ছিলেন মিসরের সামরিক বাহিনীর প্রধান। এক দশক আগে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতায় আসেন। বাশার আল আসাদের পতনের পর থেকে তিনি এই বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এই মন্তব্য তার শাসনের নিরাপত্তাহীনতার ইঙ্গিত প্রদান করে।

বাশারের পতনের পর সিসি আগের চেয়ে বেশি হুঁশিয়ার হয়ে গেছেন। কারণ, আরব অঞ্চলে তিনিই এখন সবচেয়ে বড় স্বৈরাচারী শাসক। তার কারাগারে এখনো ৬৫ হাজার রাজনৈতিক বন্দী রয়েছেন। হাজার হাজার মানুষকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, নির্যাতনকে তিনি রাষ্ট্রীয় নীতির পর্যায়ে উন্নীত করেছেন, যেটি মানবতাবাধিকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অপরাধ।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় সিসি নতুন প্রশাসনিক রাজধানীর স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের সদর দফতরে সামরিক কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠক করেন। এ সময় সরকারপন্থী সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে প্রচার করা হয়নি। তবে রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি শিরোনাম প্রচার করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম দুটি শিরোনাম হলো, ‘সিসি আসাদ নন’ এবং ‘মিসরীয়দের সিরিয়ার বিদ্রোহীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করা উচিত নয়।’

তারপর ২৩ ডিসেম্বর মিসরীয় রাষ্ট্র-সংযুক্ত নিউজ আউটলেটগুলো জনসাধারণের উদ্দেশে সিসির একটি বক্তৃতার ভিডিও সম্প্রচার করে। সেখানে সিসি বলেছেন, ‘তারা সিরিয়ায় তাদের মিশন শেষ করেছে। তারা সিরিয়াকে ধ্বংস করেছে। এখন টার্গেট হলো মিসরীয় রাষ্ট্রকে ভেঙে ফেলা।’ তবে সিরিয়ার ধ্বংসের জন্য তিনি কাকে দায়ী করেছিলেন, তা উল্লেখ করেননি।

সূত্র : মিডল ইস্ট আই


আরো সংবাদ



premium cement