মধ্য ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হাউছিদের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩
মধ্য ইসরাইলের তেল আবিব এলাকায় আবারো একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হাউছি সম্প্রদায়।
বুধবার ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলি ভূখণ্ডে ঢোকার আগেই তা প্রতিহত করা হয়েছে। তবে, এ হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দু’দিনের মধ্যে এটি ছিল হাউছিদের দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পাশাপাশি হাউছিরা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরের জাহাজগুলোর ওপরেও হামলা চালিয়েছে। এ হামলার ফলে জাহাজ চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলোতেও বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
ইসরাইলি কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হাউছিদের বিষয়ে আরো স্পষ্টভাষী হয়ে উঠেছেন। তারা ইরান-সমর্থিত এ গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রকাশিত ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর তদন্ত অনুযায়ী, আগস্টে গাজায় আটক ছয়জন পণবন্দীর মৃত্যুর জন্য ইসরাইলি সেনাদের অনিচ্ছাকৃত উপস্থিতিই দায়ী।
হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অভিযান চালায়। এ সময় তারা ইসরাইলি-আমেরিকান হার্শ গোল্ডবার্গ-পোলিনসহ ছয় পণবন্দীকে ধরে নিয়ে যায়। প্রায় ৩৩০ দিন বন্দী থাকার পর হামাসের হাতে তারা নিহত হন।
সামরিক বাহিনীর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই অঞ্চলে স্থল অভিযান ধীরগতিতে ও সতর্কতার সাথে চালানো হয়েছিল। তবে তাদের এই কার্যক্রম হামাসের ছয় পণবন্দীকে হত্যার সিদ্ধান্তের ওপর পরিস্থিতিগত প্রভাব ফেলেছিল।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর আগস্টের শেষের দিকে একটি সুড়ঙ্গে তাদের লাশ পাওয়া যায়। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ওই এলাকায় সামরিক বাহিনী তৎপরতা চালায় কারণ সেখানে পণবন্দীদের থাকার একটি সম্ভাবনা ছিল।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দ্য হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম বলে, ‘আজ রাতে প্রকাশিত তদন্তে আবারো প্রমাণিত হয়েছে, কেবল একটি চুক্তির মাধ্যমেই সব পণবন্দীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’
সূত্র : ভিওএ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা