১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দেশ ছাড়ার পর প্রথম বিবৃতিতে যা বললেন বাশার আল-আসাদ

সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ - ফাইল ছবি

বিদ্রোহীদের আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ প্রথমবারের মতো বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিল না।

গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন ঘটে। এ সময় তিনি পালিয়ে গিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন।

এরপর সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মস্কো থেকে প্রথম বিবৃতি দিলেন তিনি।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া বিবৃতিতে বাশার আল-আসাদ বলেন, ‘সিরিয়া থেকে তার চলে যাওয়াটা পরিকল্পিত ছিল না এবং হামলার শিকার একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য মস্কো তাকে অনুরোধ করেছিল।’

তিনি বলেন, ‘সিরিয়া থেকে আমার প্রস্থান পরিকল্পিত ছিল না অথবা লড়াইয়ের শেষ সময়েও এটি ঘটেনি।’

সিরিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ৮ ডিসেম্বর (রোববার) সকাল পর্যন্ত তিনি দামেস্কেই ছিলেন। পরে লাতাকিয়ায় চলে যান। সেদিন সন্ধ্যায় মস্কো তাকে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করে।

‘আমি রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোর বেলা পর্যন্ত দামেস্কে ছিলাম। সেখান থেকে আমার দায়িত্ব পালন করেছিলাম। সন্ত্রাসী বাহিনী যখন দামেস্কে অনুপ্রবেশ করে, তখন লড়াই অভিযানের তদারকি করার জন্য আমাদের রুশ মিত্রদের সাথে সমন্বয় করে লাতাকিয়ায় চলে আসি। আমি সেদিন সকালেই হামিমিম ঘাঁটিতে পৌঁছাই,’ বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। এর এক পর্যায়ে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি তীব্র ড্রোন হামলার মুখে পড়ে। সামরিক ঘাঁটির কমান্ড ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করে।

সিরিয়া বর্তমানে ‘সন্ত্রাসীদের’ হাতে রয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করেন বাশার আল-আসাদ।

তিনি বলেন, সিরিয়াজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ায় এবং ৭ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যার দিকে সন্ত্রাসীরা দামেস্কে পৌঁছানোর ফলে প্রেসিডেন্টের ভাগ্য এবং তার দেশে অবস্থান ঘিরে সংকট তৈরি হয়। ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি ও আখ্যানের মাঝে এসব ঘটেছে। যার লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার মুক্তি আন্দোলনের নামে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে আবারো পুনরুজ্জীবিত করা।

বাবা হাফেজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসেন বাশার আল-আসাদ। এরপর প্রায় তিন দশক ধরে শক্ত হাতে শাসন করেন সিরিয়া। হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোর দুই সপ্তাহের কম সময়ের সরকারবিরোধী আন্দোলনে গত ৮ ডিসেম্বের বাশারের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।

সূত্র : আলজাজিরা, এএফপি, রয়টার্স


আরো সংবাদ



premium cement