১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সুদানের আধাসামরিক বাহিনীর ড্রোন হামলায় নিহত ৩৮

সুদানের আধাসামরিক বাহিনীর ড্রোন হামলায় নিহত ৩৮ - ছবি : বাসস

সুদানের দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলে আধাসামরিক বাহিনীর এক ড্রোন হামলায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় কর্মীরা এর আগের সংখ্যা সংশোধন করে নতুন এই সংখ্যা জানায়।

পোর্ট সুদান থেকে এএফপি জানায়, সুদানজুড়ে সহায়তা সমন্বয়কারী শত শত স্বেচ্ছাসেবক গোষ্ঠীর অন্যতম উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল-ফাশারের স্থানীয় প্রতিরোধ কমিটি বলেছে, নগরীর কেন্দ্রস্থল লক্ষ্য করে আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) চারটি উচ্চ-বিস্ফোরক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

আরএসএফ ২০২৩ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে নিয়মিত সেনাবাহিনীর সাথে লড়াই করে আসছে। মে মাস থেকে আধাসামরিক বাহিনীটি এল-ফাশার নগরী অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বিস্তীর্ণ দারফুর অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে উভয় পক্ষের লড়াইয়ে নগরীটিতে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে।

প্রায় সমস্ত দারফুর এখন আরএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণে। এটি দক্ষিণ কোর্দোফান অঞ্চল ও সুদানের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশও দখলে নিয়েছে। এদিকে উত্তর ও পূর্বাঞ্চল সেনাবাহিনী দখল করেছে।

আরএসএফ ও সেনাবাহিনী উভয়ই এখন এল-ফাশার থেকে এক হাজার কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত যুদ্ধ-বিধ্বস্ত রাজধানী খার্তুমের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করছে।

সেনাবাহিনী-সংযুক্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার আরেকটি ড্রোন হামলায় এল-ফাশারের প্রধান হাসপাতালে নয়জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরএসএফ যোদ্ধারা সৌদি হাসপাতাল লক্ষ্য করে একটি ড্রোনের মাধ্যমে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা ওই স্থাপনার মূল অবস্থানে আঘাত করেছে।

শনিবার একটি অনলাইন পোস্টে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানোম ঘেব্রেইসাস সুদানজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোয় অবিরাম হামলাকে দুঃখজনক হিসেবে অভিহিত করেছেন।

তিনি এক্স-এ বলেন, ‘আমরা সকল রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা এবং হাসপাতালগুলো ও সেগুলোর আশেপাশের সমস্ত হামলা বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি।’

সুদানের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, এক কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। জাতিসঙ্ঘ এই সংঘর্ষকে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়লোর অন্যতম বলে অভিহিত করেছে।

সেনাবাহিনী ও আরএসএফ উভয়ের বিরুদ্ধেই নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিক এবং চিকিৎসা স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করার পাশাপাশি ইচ্ছাকৃতভাবে আবাসিক এলাকায় বোমা হামলার অভিযোগ রয়েছে।

সুদানের সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে দারফুরের উত্তরের একটি বাজারে সবচেয়ে মারাত্মক এক বিমান হামলা চালায়। গণতন্ত্রপন্থী আইনজীবীদের একটি দল জানায়, ওই হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।

সূত্র : এএফপি/বাসস


আরো সংবাদ



premium cement