১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মস্কোতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার পাচার সিরিয়ার বাশারের সরকারের!

মস্কোতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার পাচার সিরিয়ার বাশারের সরকারের! - সংগৃহীত

পতনের পর সপরিবার মস্কো পালাতে বাধ্য হয়েছেন সিরিয়ার পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। সেই ঘটনার কয়েক দিন পরই সামনে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সিরিয়া থেকে মস্কোয় প্রায় ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য অর্থ (বিভিন্ন দেশের নগদ মুদ্রায়) পাচার করেছে বাশারের সরকার!

তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, এর থেকেই স্পষ্ট যে একদিকে যখন গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে সিরিয়ার আমজনতার জীবন দুর্বিষদ হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে ওই সময়েই রাশিয়ার সাথে আর্থিক লেনদেন ও বোঝাপড়ার সম্পর্ক আরো মজবুত করেছেন বাশার আল-আসাদ। এর ফলে এখন যে মস্কো তাকে আশ্রয় দেবে, সেটা খুবই স্বাভাবিক।

সূত্রের দাবি, সিরিয়া থেকে মস্কোয় এই নগদ অর্থ পাঠানো হয়েছে মূলত মার্কিন ডলার বিল এবং ইউরো নোটের মাধ্যমে। ১০০ মার্কিন ডলার মূল্যের বিল এবং ৫০০ ইউরোর নোট- সব মিলিয়ে প্রায় দুই টন ওজনের নগদ অর্থ সিরিয়া থেকে মস্কোয় পাচার করা হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, পাশ্চাত্যে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পরই নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে রাশিয়ার সাথে এভাবে আর্থিক বন্ধন শক্ত করেছেন বাশার।

একদিকে, যখন সিরিয়ার ওপর একের পর এক আর্থিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, সেই সময়েই রাশিয়ার সাথে নিয়মিত লেনদেন চালিয়ে গেছেন বাশার।

সূত্রের দাবি, বিপুল পরিমাণ ওই নগদ অর্থ সিরিয়া থেকে রাশিয়ার পাঠানো হয়েছে বিমানের মাধ্যমে। যেন ভয়াবহ দুর্দিনেও ক্রেমলিনের সহযোগিতায় বহাল তবিয়তেই থাকতে পারেন বাশার ও তার কাছের লোকেরা।

ফিন্যানশিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সময়সীমার মধ্যে একাধিকবার সিরিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের তরফ থেকে বিমান রওনা দিয়েছে রাশিয়ার উদ্দেশে। সেগুলোর গন্তব্য ছিল মস্কোর ভ্নুকোভো বিমানবন্দর।

সূত্রের আরো দাবি, বিপুল পরিমাণ ওই নগদ অর্থ বিমানবন্দর থেকে সোজা পৌঁছে যায় রুশ ব্যাংকে। এ সংক্রান্ত তথ্যাবলী ইতোমধ্যেই সামনে আসতে শুরু করেছে।

বলা হচ্ছে, সিরিয়ার ওপর পাশ্চাত্যের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ার পর তাদের বিদেশী মুদ্রার সঙ্কট তৈরি হয়। ওই সময়ে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় রাশিয়া। এবং সেই সহযোগিতার বিনিময়েই এই বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ মস্কোয় পাঠানো হয় বলে মনে করা হচ্ছে। পুরো ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে : জয়নুল আবেদিন ব্রিসবেনেও ব্যাটিং বিপর্যয়, ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত ভালুকায় মহিলা মাদরাসা ও দোকানে আগুন যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি : হামাস জাপানের পরলোকগত প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজ ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমসতাসীন দলের প্রধানের পদত্যাগ ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহত ৪০ মৌসুমে সেরার দৌড়ে বেনজেমার ভোট পাননি এমবাপ্পে শিক্ষার্থী হত্যা : সাবেক এমপি নদভী রিমান্ডে সিরিয়ার সব বিদ্রোহীগোষ্ঠী ভেঙে দেয়া হবে : আল-শারা ভারত থেকে আলু আমদানি করা ছাড়া উপায় ছিল না : বাণিজ্য উপদেষ্টা

সকল