সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে রাশিয়া, সামরিক ঘাঁটির নিরাপত্তার ওপর জোর
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২
রাশিয়া বুধবার বলেছে, তারা সিরিয়ার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং যারা বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখছে তাদের সাথে রাশিয়া যোগাযোগ রাখছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সিরিয়ায় রাশিয়ার কূটনৈতিক স্থাপনা এবং তাদের সামরিক ঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। সিরিয়ায় রাশিয়ার সেনারা বছরের পর বছর ধরে সেখানে গৃহযুদ্ধে সিরিয়া সামরিক বাহিনীকে সমর্থন করে।
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা দামেস্কে ঢুকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য করার কয়েক দিন পর পেসকভ এ মন্তব্য করেন। আসাদ রাশিয়ায় পালিয়ে যান।
রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, তাকে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
আসাদের পতন এ অঞ্চলে ইরানের স্বার্থকে ও আঘাত করেছে। লেবাননে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লা গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র সরবরাহের একটি স্থলপথ বন্ধ হয়ে গেছে এবং ইরানি মিলিশিয়া যে অঞ্চলে কাজ করতে পারে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই বুধবার এ অঞ্চলে ইরানি নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে যাওয়ার ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ নেটওয়ার্কে গাজা ভূখণ্ডে মুক্তিকামী হামাস যোদ্ধা, ইরাকের মিলিশিয়া এবং ইয়েমেনের হাউছিদের সমর্থন রয়েছে।
খামেনেই আরো বলেন, সিরিয়ায় যা ঘটেছে তা যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলি পরিকল্পনার ফল এবং সিরিয়ার একটি ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্র’ আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে। তিনি প্রতিবেশী দেশটির নাম উল্লেখ না করলেও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্ক ছিল আসাদ বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর প্রধান সমর্থক।
সিরিয়রা যখন তাদের দেশের ভবিষ্যৎ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে, তখন পোপ ফ্রান্সিস বুধবার বলেন, তিনি একটি রাজনৈতিক সমাধান আশা করেন যা দেশের স্থিতিশীলতা ও ঐক্য সমর্থন করবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য নির্বাচিত হওয়ার একদিন পর মোহাম্মদ আল বশির দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সিরিয়ানদের দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইতালির করিয়েরে দেলা সেরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বশির বলেন, লাখ লাখ সিরিয় শরণার্থীকে ফিরিয়ে আনা হলো প্রাথমিক লক্ষ্য। তাদের মেধা ও অভিজ্ঞতা দেশকে সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করবে।
সূত্র : ভিওএ