৭১ ভাগ ইসরাইলি পণবন্দীদের ফেরাতে যুদ্ধ বন্ধ চায়
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫২
ইসরাইলের ৭১ ভাগ লোক গাজা যুদ্ধ অবসানের মাধ্যমে পণবন্দীদের ফিরিয়ে আনাকে সমর্থন করছে। চ্যানেল ১২-এর পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ১৫ ভাগ ইসরাইলি এ ধরনের চুক্তির বিরোধিতার করছে। আর ১৪ ভাগ জানিয়েছে, এ ধরনের চুক্তির ব্যাপারে তাদের কোনো ধারণা নেই।
উল্লেখ্য গত সপ্তাহে প্রকাশিত ইসরাইলের অ্যাসোসিয়েশন অব রেপ ক্রাইসিস সেন্টার্সের জরিপে ৯৩ শতাংশ জানিয়েছিল, পণবন্দীরা বিপদে রয়েছে।
চ্যানেল ১২-এর জরিপে আরো দেখা যায়, ৫১ ভাগ ইসরাইলি গাজায় ইহুদি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে। আর ৩৩ শতাংশ পক্ষে। এছাড়া ১৬ শতাংশ কোনো মতামত দেয়নি।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৫৭ ভাগ গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে অভিমত দিয়েছেন। আর ২৪ শতাংশ এর বিপক্ষে বলেছেন।
হিজবুল্লাহ প্রধানের স্মরণ সভায় শত শত লোকের সমাগম
বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে শনিবার গভীর রাতে দু'মাস আগে ইসরাইলি বিমান হামলায় সাবেক হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার স্থানটিতে শত শত লোক এক স্মরণ সভায় মিলিত হয়।
লেবাননের এই গোষ্ঠীটির আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হামলায় সৃষ্ট বিশাল গর্তের ভেতরে ও চারপাশে হিজবুল্লাহর হলুদ পতাকা ও মোমবাতি গেঁথে দেয়া হয়। বুধবার ইসরাইলের সাথে তাদের এক যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ায় যুদ্ধটি শেষ হতে চলেছে। সেখানে লাউড স্পিকারে নাসরুল্লাহর বক্তৃতা বাজানো হয়। সাইটটির আশেপাশের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে নেতার একাধিক বিশালকায় প্রতিকৃতি সাজানো ছিল।
৩০ বছর বয়সী নারী লামা তার দু'শিশু সন্তান নিয়ে স্মরণ সভায় আসেন । তিনি বলেন, সৈয়দ হাসান আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি এক বিশাল শূন্যতা রেখে গেছেন। কাছাকাছি যায়গায় একদল যুবক হিজবুল্লাহর পতাকা নেড়ে স্লোগান দিতে থাকে। বন্ধুদের সাথে আসা ১৮ বছর বয়সী ছাত্র লিয়া বলেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারি না তিনি মারা গেছেন।’
লেবাননে দুই মাসের সর্বাত্মক যুদ্ধে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীর, হিজবল্লুাহর এক শক্ত ঘাঁটি ইসরাইলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হয়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসর্ইালে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর হামলার পর হিজবুল্লাহ তার মিত্র হামাসের সমর্থনে প্রায় এক বছরের আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময়ের পর সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে এই যুদ্ধ তীব্র হয়।
২৭শে সেপ্টেম্বর বিমান হামলায় নাসরুল্লাহকে আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে হত্যা করা হয়, ওই হামলায় আরেক কমান্ডার ও ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের একজন সিনিয়র সদস্যও নিহত হন। তার শেষকৃত্য ইসরাইল লক্ষ্য করবে আশংকায়, এক গোপন স্থানে নাসরুল্লাহকে দাফন করা হয়। যুদ্ধবিরতির পর, হিজবুল্লাহ জনসাধারণের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, তবে কোনো তারিখ নির্দিষ্ট করেনি।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট ও এএফপি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা