২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মধ্য গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা, নিহত ১৭

গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শিবির এলাকায় ফিলিস্তিনিরা তাদের জিনিসপত্র নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে ফাইল ফটো : ২৮ নভেম্বর ২০২৪ - ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা বলেন, ইসরাইলি বাহিনী কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বোমাবর্ষণ বাড়িয়েছে এবং উত্তর ও দক্ষিণে ট্যাংকগুলো আরো গভীরে প্রবেশ করেছে।

ইসরাইল ও ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ লেবাননে যুদ্ধবিরতি পালন শুরু করার একদিন পর এই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেল। ওই যুদ্ধবিরতি এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সহিংসতার অবসান ঘটিয়েছে এবং গাজার ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হামাসের সাথে একই ধরনের চুক্তির আশা জাগিয়েছে।

গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলীয় বেইত লাহিয়ায় কামাল আদওয়ানের একটি বাড়ি ও হাসপাতালের কাছে দু’টি পৃথক বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে এবং দক্ষিণে খান ইউনিসে ইসরাইলি হামলায় একটি মোটরসাইকেল বিধ্বস্ত হলে চারজন নিহত হয়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরের একটি নুসেইরাতে ইসরাইলি বিমানগুলো বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে, একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করেছে এবং মসজিদের বাইরের রাস্তায় আঘাত হেনেছে। এসব হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানায়, নুসেইরাতের পশ্চিমাঞ্চলে ট্যাংকের গোলাবর্ষণে একজন নারী ও একজন শিশুসহ কমপক্ষে দু’জন নিহত হয়েছে এবং কাছেই একটি বাড়িতে বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, মিশর সীমান্তের কাছে রাফা শহরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আরো গভীরে ট্যাংক ঢুকে পড়েছে।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় খুব কম অগ্রগতি হয়েছে এবং আলোচনা এখন স্থগিত রয়েছে। পক্ষগুলো ছাড় দেয়ার জন্য প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত মধ্যস্থতাকারী কাতার তাদের প্রচেষ্টা স্থগিত করেছে।

ইসরাইল এবং হামাসের লেবানিজ মিত্র হিজবুল্লাহর মধ্যে সমান্তরাল সংঘর্ষে বুধবার ভোরের আগে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে যুদ্ধ তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং তা গাজার সংঘাতকে ছাপিয়ে গেছে।

মঙ্গলবার লেবানন চুক্তি ঘোষণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘তিনি এখন গাজায় একটি অধরা চুক্তির জন্য আবার চাপ দেবেন এবং ইসরাইল ও হামাসকে এই মুহূর্তটি কাজে লাগানোর আহ্বান জানাবেন।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

সূত্র : ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement