ইরানে বন্দী মার্কিন নাগরিক, নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩
বাইডেন প্রশাসন বলছে, এক দ্বৈত নাগরিক ইরানি-আমেরিকানকে ইরান যে সম্প্রতি আটক করেছে সে বিষয়টি তারা দেখছে। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বিরল এক বন্দী বিনিময়ের পর এই ব্যক্তি হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক মাত্র নাগরিক যাকে ইরান কারাদণ্ড দিয়েছে।
গত সপ্তাহে ভিওএ-এর এক অনুসন্ধানের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই খবর সম্পর্কে অবগত আছে যে যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের এক দ্বৈত নাগরিককে ইরানে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই সংবাদটি ভিওএ-এর একটি সহযোগী নেটওয়ার্ক রেডিও ফার্দার একজন সাবেক সাংবাদিক রেজা ওয়ালিজাদেহ সম্পর্কে। তিনি ২০২২ সালে ওই ফার্সি ভাষার নেটওয়ার্ক পরিত্যাগ করেন। আগস্ট মাসে এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া তার সর্বশেষ পোস্ট অনুযায়ী, ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর তিনি তার পরিবারের সাথে থাকতে ফেব্রুয়ারি মাসে তেহরান যান।
রেডিও ফার্দা ও পাশ্চাত্যের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমকে ইরান বৈরীপক্ষের প্রতিষ্ঠান বলে মনে করে। কারণ তারা সে দেশের ইসলামী শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ভিন্নমতের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এই ব্যাপার সম্পর্কে আরো তথ্য সংগ্রহের জন্য আমাদের সুইস অংশীজনের সাথে কাজ করছি। কারণ তারা ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষা শক্তি হিসেবে কাজ করে।’
তিনি বলেন, ‘ইরান অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের নিয়মিতই কারাদণ্ড দেয়।’
ইরান-ভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী হিউমান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস ইন ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের অধিকার গোষ্ঠী কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট অক্টোবরের মাঝামাঝি জানায়, ওয়ালিজাদেহকে তেহরানের এভিন কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। তার গ্রেফতারের পর থেকে তাকে কোনো আইনজীবির নাগাল পেতে দেয়া হচ্ছে না। এই প্রতিবেদনে দু’টি সুত্রের কথা উল্লেখ করা হয়। এর একটি সুত্র হচ্ছে ওয়াজিদেহের পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠজনেরা আর অন্যটি হচ্ছে যারা এর আগে ওয়ালিজাদেহের সাথে কাজ করেছেন।
ইরানের জাতিসঙ্ঘ মিশন ওয়ালিজাদেহের ব্যাপারে গত সপ্তাহে ভিওএ-এর মন্তব্য চেয়ে অনুরোধ পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও কোনো জবাব দেয়নি।
আগস্ট মাসে সর্বশেষে এক্স পোস্টে ওয়ালিজাদেহ লিখেছিলেন, ইরানের শীর্ষ সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা শাখা ইসলামিক রিভ্যুলিউশানারি গার্ডের সাথে অর্ধ-সমাপ্ত আলোচনার পর তিনি ফেব্রুয়ারি মাসে ইরানে ফিরে যান।
তিনি বলেন, তিনি স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তিনি ইরানের ইসলামিক রিভ্যুলিউশানারি গার্ডের কাছ থেকে এমন কোনো লিখিত বা মৌখিক আশ্বাস পাননি যে তার এই সফরে কোন বাধা দেয়া হবে না।
ফেব্রুয়ারি মাসে ইরানে পৌঁছে ওয়ালিজাদেহ আরেকটি এক্স পোস্টে বলেন, ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা তার পরিবারকে ডেকে চাপ দিয়েছে যাতে তিনি ফিরে যান।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বিদেশে বসবাসরত ইরানিদের বোঝাতে চেয়েছেন যে দেশে ফিরলে তাদের ভয় করার কিছু নেই।
সূত্র : ভিওএ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা