২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩০, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

কে ধরবেন হামাসের হাল?

- ফাইল ছবি (রয়টার্স)

সেপ্টেম্বরে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া। এর দু’মাস পেরোনোর আগেই হামাসের নতুন কাণ্ডারী ইয়াহিয়া সিনওয়ারকেও হত্যা করেছে ইসরাইল।

পরপর দু’জন শীর্ষ নেতাকে হারানোর পর সিনওয়ারের উত্তরসূরি কে হচ্ছেন, কে ধরতে যাচ্ছেন হামাসের হাল- এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।

হামাসের দুই কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের উত্তরসূরি বেছে নিতে অচিরেই আলোচনা শুরু হবে।

কর্মকর্তারা বলেছেন, সিনওয়ারের ডেপুটি এবং গাজার বাইরে সংগঠনটির সিনিয়র কর্মকর্তা খলিল আল-হায়া শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।

বর্তমানে কাতারে অবস্থানরত আল-হায়া ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাস প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাকে গাজা পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান, সংযোগ ও বোঝাপড়ার অধিকারী বলে মনে করা হয়।

খলিল আল-হায়া গত আগস্ট থেকে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মরহুম সালেহ আল-আরৌরির উত্তরসূরি।

তেহরানে সাবেক নেতা ইসমাইল হানিয়াহ হত্যার মাত্র দু’মাস পর হামাস নেতারা গত বুধবার নিহত সিনওয়ারের উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য আবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।

হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিনওয়ারকে ৭ অক্টোবরের হামলার স্থপতি হিসেবে বর্ণনা করে জোর দিয়ে বলেন, তার নিয়োগ ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি সাহসী বার্তা ছিল।

এদিকে জুলাই থেকে যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে।

হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, সিনওয়ারকে হত্যা করা সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতি ও ইসরাইলি পণবন্দীদের মুক্তির শর্ত বদলায়নি।

হামাস গাজা থেকে ইসরাইলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, শত্রুতার অবসান, মানবিক সাহায্য হস্তান্তর এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলের পুনর্গঠনের দাবি অব্যাহত রেখেছে। তবে ইসরাইল এসব শর্ত স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে হামাসকে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে জোর দিয়েছে।

হামাসকে অস্ত্র ও আত্মসমর্পণের জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আহ্বান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে হামাস কর্মকর্তারা প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমাদের পক্ষে আত্মসমর্পণ করা অসম্ভব।’

তারা বলেন, ‘আমরা আমাদের জনগণের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছি। আমরা আত্মসমর্পণ মেনে নেব না। আমরা শেষ বুলেট ও শেষ সৈনিক পর্যন্ত লড়াই করব, ঠিক সিনওয়ার যেমনটি করেছেন।’

সিনওয়ারের হত্যাকাণ্ড কয়েক দশকের মধ্যে সংগঠনের জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির একটি। তবে হামাসের ১৯৯০-এর দশক থেকে নেতৃত্ব হারানোর ইতিহাস রয়েছে।

ইসরাইল হামাসের বেশিভাগ নেতা ও প্রতিষ্ঠাতাকে হত্যা করতে সফল হলেও হামাসের নতুন নেতা খুঁজে বের করার সক্ষমতা রয়েছে বলেই প্রমাণিত হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি হামাসের অবশিষ্ট নেতৃত্বে রয়েছেন এবং গাজার হামাসের ভবিষ্যৎ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ফক্স নিউজ একাধিক ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানিয়েছে, ইসরাইলি কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে বুধবার নিহত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের প্রধান হতে পারেন।

মোহাম্মদ সিনওয়ার তার ভাই ইয়াহিয়া সিনওয়ারের চেয়ে ১৩ বছরের ছোট। তিনি ১৯৭৫ সালে খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পরে বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
ভোলায় দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ১ হ্যারিসের বয়স ৬০ বছর হলেও ট্রাম্পের বয়স সম্পর্কে কথা বলতেই তার পছন্দ বগুড়ায় শ্রমিকদল নেতা হত্যা মামলায় স্পেশাল পিপি কারাগারে বন্দরে নৈশ প্রহরীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ‘কারিগরি ও দক্ষতাভিত্তিক প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হবে এডাস্ট’ পলিথিন শপিং ব্যাগমুক্ত বাজারকে পুরস্কার দেয়া হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা পাকিস্তানি তরুণীর সাথে বিজেপি নেতার ছেলের বিয়ে হাতিয়ায় বিদ্যালয়ের পাশে ইটভাটা বন্ধে মানববন্ধন অন্তর্বর্তী সরকার ও সংস্কার এজেন্ডায় উপেক্ষিত ব্যক্তিমালিকানাধীন খাত : টিআইবি ‘শ্রমিক অসন্তোষে বাইরের উস্কানি ও ইন্দন ছিল’ টেকনাফে রকেট বোম্ব গ্রেনেড রাইফেলের গুলিসহ আটক ১

সকল